শেষ আপডেট: 16th April 2024 11:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরানি হামলার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি ইজরায়েল। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যুদ্ধ সম্পর্কিত ক্যাবিনেট বৈঠকে ইরানকে সমুচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজরায়েল আক্রমণের জন্য যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ফেলেছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, ইজরায়েলি প্রস্তুতিপর্বের মধ্যেই ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, কোনওরকম হামলা হলে তারাও সেই মুহূর্তে জবাব দেবে। আর এবার 'কোনওদিন ব্যবহার করা হয়নি, এমন অস্ত্রের প্রয়োগ' করবে তারা। এনিয়ে খুবই উদ্বেগে রয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি (আইএইএ)।
সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল রাফাল গ্রোসি বলেন, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলার সম্ভাবনার খবরে তাঁরা খুবই উদ্বিগ্ন। যদিও ইজরায়েলি পরিকল্পনা জানার পর থেকেই ইরান পরমাণু চুল্লিগুলি আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, হামলার জন্য ইরানের নাটৎজ, ইসফাহান, আরক, ফোরহাধো এবং বুশের-এর পরমাণু কেন্দ্রগুলি ইজরায়েলের নিশানায় রয়েছে। ইজরায়েলের সেনাপ্রধান যে কোনও মুহূর্তে হামলার কথা জানানোর পর ইরানি কর্তৃপক্ষও বলেছে, সেকেন্ডের মধ্যে হানাদারির জবাব দেওয়া হবে। আমরাও তৈরি। এবং এবার এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, যা আগে কখনও প্রয়োগ করা হয়নি। সব মিলিয়ে দুই দেশের অদম্য অনড় মনোভাবে আতঙ্কের প্রহর গুনছে আন্তর্জাতিক মহল।
এই পরিস্থিতিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী মঙ্গলবার ইরানি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। চিনকে ইরান এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে, তারা সংযম দেখাতে তৈরি। ইরানের দীর্ঘদিনের বন্ধুরাষ্ট্র চিন। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছাড়াও তাদের কাছ থেকে তেল কেনে বেজিং। আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে আমেরিকা চিনকে একাধিকবার বন্ধুদেশের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ইরানের সঙ্গে কথা বলেন।
পশ্চিম এশিয়ার উদ্ভূত উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্য মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান তাঁর ভারত সফর বাতিল করে দিয়েছেন। এই সপ্তাহেই তাঁর ভারতে আসার কথা ছিল। বিশেষত ইজরায়েলি সেনাপ্রধান ইরানে হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করার পর আরব দুনিয়ার উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নতুন করে খারাপ দিকে মোড় নিচ্ছে।
ইজরায়েলের চ্যানেল ১২-এর খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনী মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ ১৬, এফ ১৫ এবং এফ ৩৫ জেট তৈরি করে রেখেছে। সেনাবাহিনী মনে করে, ইরানকে শিক্ষা দেওয়ার অর্থ এই নয় যে, সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে গড়াবে পরিস্থিতি। তবে ইরানকে বুঝিয়ে দিতে হবে, ড্রোন হামলা চালিয়ে তারা পার পেতে পারে না।