আইন বদলের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
শেষ আপডেট: 9th August 2024 16:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বদলের দাবিতে আইন সংশোধনের প্রস্তাব উঠেছে সে দেশের সংসদে। শিয়া সমর্থিত দলগুলি এই আইন সংশোধনের দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। তাদের প্রস্তাব, মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ৯ বছর করা হোক! রবিবার প্রথমবারের জন্য এই সংশোধনী প্রস্তাব উঠেছিল সংসদে। এর বিরুদ্ধে সরব দেশের মহিলা এবং শিশু অধিকার সংগঠনগুলি।
তথ্য বলছে, ইরাকে ১৯৫৯ সালের ব্যক্তিগত আইনের ১৮৮ নম্বর ধারায় মেয়েদের বিয়ের বয়স হিসেবে বলা হয়েছে ১৮ বছরের কথা। যদিও বিচারক এবং পাত্র-পাত্রীর অভিভাবকের সম্মতিতে ১৫ বছরেও বিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেই আইনে।
মহিলাদের উন্নতির কথা ভেবে এই আইন পাশ করিয়েছিল বামপন্থী নেতা আবদুল-করিম কাশিমের সরকার। মুসলমান নয়, এমন মহিলাকে বিয়ের ক্ষেত্রেও কোনও বাধা ছিল না। স্বামী আশ্রয় না দিলে, তাঁকে অস্বীকার করার অধিকার মহিলাদের দিয়েছিল সেই আইন। পুরুষদের একজন স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয় বিয়েতেও বাধা ছিল সেই আইনে।
কিন্তু এই আইনই বদল করতে চাইছে কট্টরপন্থী শিয়া দলগুলি। তাদের খসড়া বিলে বলা হয়েছে, দম্পতির মধ্যে কোনও সমস্যা হলে স্বামীর মতামতই মানতে হবে স্ত্রীকে। এমনকি, স্বামী-স্ত্রীর বচসা হলে আদালত নয়, শেষ কথা বলবে শিয়া এবং সুন্নি ধর্মের দফতর। বিলে আরও বলা হয়েছে, ‘জাফারি আইন’ মেনে শিয়া আচরণবিধি তৈরি করা হবে। এই ‘জাফারি আইন’-এই মেয়েদর বিয়ের বয়স আসলে ৯ বছর এবং ছেলেদের বিয়ের বয়স ১৫ বছর।
ইরাকে মহিলাদের অধিকার রক্ষাকর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন এই প্রস্তাবের। তাঁরা দাবি করেছেন, এই বিল পাশ হলে দেশের মহিলা এবং শিশুদের অধিকারে আরও অবনতি হবে।