শেষ আপডেট: 20th February 2025 12:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন প্রশাসন সে দেশে অবৈধভাবে বাস করা বহু বিদেশি নাগরিককে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ভারতে তিন দফায় লোক পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও সেও প্রক্রিয়া জারি আছে। এরই মাঝে জানা গেছে, দেশে ফেরত পাঠানোর আগে বহু নাগরিককে পানামার এক হোটেলে 'বন্দি' করে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।
পানামার একটি হোটেলে কমপক্ষে ৩০০ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন বলে খবর। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভারতীয়। তাঁরা হোটেলের জানলা থেকে কাগজে লেখা বার্তা দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, তাঁরা নিজেদের দেশে সুরক্ষিত নন। কেউ আবার সরাসরি সাহায্য চাইছেন। ভারত ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চিন সহ আরও একাধিক দেশের নাগরিকদের আটক করেছে আমেরিকা। তাঁদের মধ্যেই ৩০০ জনকে এই হোটেলে রাখা হয়েছে।
এদিকে পানামা কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তাঁদের কাউকেই বন্দি বানিয়ে রাখা হয়নি। তাঁদের সুরক্ষার জন্যই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এও জানানো হয়েছে, যথাসময়ে তাঁদের খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও দেওয়া হচ্ছে।
নিজেদের দেশ থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের অন্যত্র পাঠানোর আগে পানামাকে 'ব্রিজ' হিসেবে ব্যবহার করছে আমেরিকা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের হুমকিতে চাপে আছে পানামা সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁরা এমন নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা জানিয়েছে, ৩০০ অবৈধবাসীদের মধ্যে ১ জন ইতিমধ্যেই তাঁর দেশে ফিরেছেন। বাকি ২৯৯ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে দেশে ফেরানোর কাজ চলছে।
ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ১০৪ জন, দ্বিতীয় দফায় ১১৬ জন এবং তৃতীয় দফায় ১১২ জন অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। এই সকল নাগরিক পাঞ্জাব, হরিয়ানা ছাড়াও গুজরাত, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে যারা আমেরিকা থেকে ফিরেছেন তাঁদের অনেকেই দাবি করেছেন, কীভাবে তাঁদের 'অত্যাচার' করা হয়েছে সে দেশের ডিটেনশন ক্যাম্পে। তার আগে বিমানে তাদের হাত-পা বাঁধা, কোমরে চেন পরানোর ছবি, ভিডিও তো সামনে এসেইছিল। এবার পানামার হোটেল ইস্যুতে বিতর্কে জড়াল মার্কিন প্রশাসন।