শেষ আপডেট: 5th March 2025 07:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমেরিকার হাসপাতালে (US Hospital) প্রাণঘাতী হামলার শিকার হতে হল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নার্সকে (Indian Origin Nurse)। চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর ওপর হামলা করেন এক রোগী। বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিও করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় ওই রোগীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পাম বিচ কাউন্টি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ৬৭ বছরের লিলাম্মা লাল। হাসপাতালের মধ্যেই তাঁর ওপর চড়াও হয় ৩৩ বছরের স্টিফেন স্ক্যানটেলবারি নামের এক যুবক। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই নার্সের মুখে একের পর এক ঘুষি মারেন তিনি। মাটিতে মাথা ঠুকে দেন বেশ কয়েকবার। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে এই ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। দেখা গেছে, অন্তত দেড় থেকে দু'মিনিট ধরে মারধর করা হয়েছে লিলাম্মাকে।
ওই নার্সের মেয়ে সিন্ডি জানিয়েছেন, 'আমি আমার মাকে প্রথম চিনতে পারিনি! মুখ যেন বদলে গেছে। মারাত্মক অবস্থা। কেউ কাউকে এমনভাবে মারতে পারে আমি কল্পনা করতে পারি না। মায়ের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। মুখ ফুলে গেছে। চোখ প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার মুখে।' হাসপাতাল সূত্রে খবর, লিলাম্মাকে এমনভাবেই মারা হয়েছে যে তাঁর মুখের প্রায় প্রত্যেকটা হাড় ভেঙে গেছে! এছাড়া ভেঙেছে কলার বোন, চোট লেগেছে স্পাইনাল কর্ডেও।
কিন্তু কেন এমন হামলার শিকার হতে হল লিলাম্মাকে? গ্রেফতার হওয়া স্টিফেন নামের ওই যুবকের দাবি, 'ভারতীয়রা খুব খারাপ হয়। তাই ওই ভারতীয় নার্সকে মেরে মনে জ্বালা জুড়িয়েছি।' মনে করা হচ্ছে, স্টিফেন মানসিকভাবে সুস্থ নয়। এর জন্যই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই প্যানিক করছিল সে। মনে করছিল, তাঁর বাড়িতে কেউ নজর রাখছে, ঘরে ক্যামেরা লাগানো। তার জেরেই এই হামলা হতে পারে। যদিও আদালত স্টিফেনকে কোনও মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি।
লিলাম্মা এখনও আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, জীবনের প্রায় অধিকাংশ সময়ই তিনি চিকিৎসায় উৎসর্গ করেছেন। তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এদিকে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবে হাসপাতালের বাকি কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।