শেষ আপডেট: 31st August 2024 11:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পৃথিবীর বহু শহরকেই এখন বৃদ্ধদের নগরী বলা হয়ে থাকে। তেমনই জাপানকে বলা হয়ে থাকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেশ। সে দেশে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সন্তান নিয়ে অনীহা এবং গড় আয়ুর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণে সত্তরোর্ধ্ব মানষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে। কমেছে শিশু-কিশোর-তরুণ-যুবার হার। ফলে নিঃসঙ্গতা মাত্রা ছাড়িয়েছে সে দেশে। লাখ লাখ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একাকী জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের অসুখ-বিসুখের খবর পরিচিতরা জানতে পারছেন না। একা বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন অনেকে।
জাপানের ন্যাশনাল পুলিশ ব্যুরো সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের প্রায় ৪০ হাজার বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একা বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন।
বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে জানিয়েছে, মৃতদের ৭০ শতাংশের বয়স ৬৫-র বেশি। জাপান পুলিশ জানিয়েছে, ৪০ শতাংশের মারা যাওয়ার কথা একদিনের মধ্যে জানা গিয়েছিল। অন্যদিকে, প্রায় চার হাজারের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় এক মাস পর। মারা যাওয়ার এক বছর পর জানা গিয়েছে ১৩০ জনের মৃত্যু সংবাদ। যে পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, এলাকার কোনও প্রবীণকে দেখা না গেলে খোঁজখবর নেওয়ার কেউ নেই।
জাপানে জনসংখ্যা বিষয়ে কাজ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ। তারা জানিয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ জাপানের প্রতি পাঁচটি পরিবার পিছু একজনকে একাকী জীবন কাটাতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানে জনসংখ্যায় বয়সের ভারসাম্য না থাকার প্রভাব সে দেশের অর্থনীতিতেও পড়তে শুরু করেছে। প্রবীণদের সামাজিক সুরক্ষার দায় রাষ্ট্রের উপর চাপছে। অন্যদিকে, নবীনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় শ্রম শক্তিতে বিপুল ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
জাপানের মতো তীব্র না হলেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে চিনে। এছাড়া ইওরোপের বহু দেশেও একই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছে। নব দম্পতিদের মধ্যে সন্তান না নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বা়ডছে বিয়ে না করার প্রবণতাও।