সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শেষ আপডেট: 9 May 2025 18:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অপারেশন সিঁদুরের জবাবে নিরীহ ভারতীয় ও সেনা ঘাঁটিতে হামলার ক্ষত এবার পাকিস্তানের বুকে আঘাত হানতে চলেছে। শুক্রবার, ৯ মে-তে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে চলেছে। পহলগাম জঙ্গি হানার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর অভিযানের পর থেকে সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এই অবস্থায় পাকিস্তান লাগাতারভাবে সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণ ও আকাশপথে ভারতের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে গোড়া থেকেই আর্থিকভাবে পঙ্গু পাকিস্তানের অর্থনীতি একেবারে দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। এখন ইসলামাবাদের ভরসা আইএমএফের কাছে প্রস্তাবিত ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ। এই অবস্থায় সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কে ধাক্কা খাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারও মুখ ফিরিয়ে নিলে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া তো দূরঅস্ত, নাওয়াখাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের আবেদনের জোরদার বিরোধিতা করবে ভারত। কারণ নয়াদিল্লির বরাবরের অভিযোগ, পাকিস্তান গোড়া থেকেই বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে উন্নয়ন খাতে সংগ্রহ করা অর্থ জঙ্গি পুষতে ব্যবহার করে। এদিনের বৈঠকে আইএমএফ বোর্ড পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে ঋণদান নিয়ে বিচার করবে। যা নিয়ে ভারত আপত্তি জানিয়ে বলে রেখেছে যে পাকিস্তানের কর্জ মকুবের সিদ্ধান্তকে যেন গুরুত্ব না দেওয়া হয়।
আইএমএফের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ হয়েছে ৬০০ কোটি ২০ লক্ষ ডলার। ১৯৫০ সালে আইএমএফের সদস্য হওয়ার পর থেকে ইসলামাবাদ ২৫ বার ঋণ সংগ্রহ করেছে এই সংস্থা থেকে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে পাকিস্তানের ঋণ রয়েছে ৪৮০০ কোটি ডলার। সেই দিক থেকে পাকিস্তান প্রায় দেউলিয়া হওয়ার কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা বেঁচে থাকার জন্য চিন, সৌদি আরব ও কাতার থেকে অগুনতি ঋণ নিয়ে চলেছে। স্বীকৃতি সংস্থা সহ পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বর্তমানে ১৩০,০০০ কোটি ডলার।