শেষ আপডেট: 5th November 2024 20:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন চলছে। কমলা হ্যারিস না ডোনাল্ড ট্রাম্প, কে হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট তা নিয়েও কৌতূহল বিশ্বের। তবে এই নির্বাচনে সরাসরি অংশ নিতে পারেননি সুনীতা উইলিয়াম। কারণ তিনি আটকে আছেন মহাকাশে। তাও তিনি ভোট দেবেন! কিন্তু কীভাবে?
মহাকাশ থেকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে ১৯৯৭ সালে আমেরিকার মহাকাশচারী ডেভিড উলফ প্রথমবার মহাকাশে বসে ভোট দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে শেষবার আইএসএস থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন কেট রুবিনস। আর এবার সেই একই পদ্ধতিতে ভোট দেবেন সুনীতারা।
গত ৫ জুন ৮ দিনের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস, ব্যারি বুচরা। কিন্তু পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসের আগে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরা সম্ভব নয়। মহাকাশে যাওয়ার পরই বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপস্যুলে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিন্তু তা বলে তাঁরা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন না তা কী করে হয়। নাসা তার জন্য ব্যবস্থা করেই রেখেছে।
কীভাবে ভোট দেবেন সুনীতারা?
মহাকাশচারীরা প্রথমে ব্যালটের অনুরোধে একটি ফেডারাল পোস্ট কার্ড অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করেন। তারপর একটি ইলেকট্রনিক ব্যালটে ভোট দেন। এরপর সেই তথ্য নাসার ট্র্যাকিং এবং ডেটা রিলে স্যাটেলাইট সিস্টেম থেকে বিশালাকার অ্যান্টেনার মাধ্যমে এজেন্সির টেস্ট ফেসিলিটিতে আসে। সেখান থেকে নাসা ব্যালটের তথ্য মিশন কন্ট্রোল সেন্টারে পাঠায়। তারপর তাঁরা সেই ভোটের তথ্য নির্দিষ্ট ভোট কর্মীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ব্যালটের তথ্য এনক্রিপটেড রাখা হয়। একমাত্র ভোট দাতা এবং ভোট কর্মী ছাড়া কেউ তথ্য জানতে পারেন না।
১৯৯৭ সাল থেকে মহাকাশে বসে আমেরিকার ভোটে অংশ নিতে পারেন সে দেশের মহাকাশচারীরা। সে বছর নাসার মহাকাশচারীরা মহাকাশে বসেই যাতে ভোট দিতে পারেন সেই নিয়ে টেক্সাসের আইনসভা বিল পাশ করেছিল।