শেষ আপডেট: 7th January 2025 15:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিনের HMPV সংক্রমণ নিয়ে ভারতও আতঙ্কিত। ইতিমধ্যে দেশে সাতজনের শরীরে ধরা পড়েছে এই ভাইরাস। প্রত্যেকেরই বয়স ৩ মাস থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে সকলের। তবে এই ভাইরাস নিয়ে যে আতঙ্কের কিছুই নেই, সেই দাবি আবারও করা হল। এবার মুখ খুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, একাধিক রাজ্যের সরকার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, HMPV কোনও নতুন ভাইরাস নয়, পুরনো। প্রতি বছরই এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু তাও যেন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কমছে না। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন এই ভাইরাস নিয়ে।
স্বামীনাথনের বক্তব্য, ''সকলের উচিত সাধারণ নিয়ম মেনে চলা। এই ভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। এটা একটা সাধারণ ভাইরাস যা প্রতি বছর সংক্রামিত করে। ঠান্ডা লাগলে যেটুকু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, এক্ষেত্রেও তাই করতে হবে।'' একই সঙ্গে তিনি এও জানান, সাধারণত বছরের এই সময়টায় মাস্ক পরলে, নিয়মিত হাত ধুলে, এসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। পাশাপাশি সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি এও জানান, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস সংক্রমণে কোনও মৃত্যুর খবর নেই ভারতে।
ভারতে ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে একাধিক শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলার পরে সেই আতঙ্ক যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে সোমবার থেকে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিষ্কার বার্তা দিয়ে বলেছে, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। ভারতের এই ভাইরাসের সঙ্গে কোনও চিন-যোগও নেই। কারণ আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সাম্প্রতিক কোনও ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এদিকে কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুদীপ্ত মিত্র আগেই দ্য ওয়ালকে জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয় না। বরং এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১০-১৫ বছর ইমিউনিটি থাকে।
এখনও পর্যন্ত HMPV ভাইরাস প্রতিরোধে কোনও চিকিৎসা নেই। ওষুধ বা ভ্যাকসিন কিছুই বের হয়নি। রোগীদের যে সকল উপসর্গ ধরা পড়বে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা হবে। ঠিক যেমন করোনার সময়ে হয়েছিল।