শেষ আপডেট: 1st August 2024 15:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হামাস গোষ্ঠীর প্রধান ইসমাইল হানিয়ে এবং তার দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই খবর মিলেছে। খোদ হামাস গোষ্ঠীর দাবি, ইজরায়েল তাঁকে হত্যা করেছে। এবার হামাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে খতম করা হয়েছে বলে ইজরায়েল নিজেরাই দাবি করল। তিনি হলেন, হামাসের সেনা প্রধান মহম্মদ ডেইফ।
ইজরায়েল সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় গত মাসে তারা এয়ারস্ট্রাইক করেছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ ডেইফের। গত ১৩ জুলাই এই হামলা চালিয়েছিল আইডিএফ। সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, গত বছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল তার নেপথ্যে প্রধান ভূমিকাই ছিল ডেইফের। ইজরায়েলে হামলার জেরে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই বিগত কয়েক মাস ধরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ইজরায়েল।
হামাসের হামলার বদলা নিয়ে ইজরায়েলও পাল্টা হামলা করেছে গাজায়। সেই হামলায় আবার কয়েক হাজার প্যালেস্টেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। হামাসের দাবি, ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। আরও প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভূ-খণ্ড ছেড়ে চলে গেছেন অন্য সীমান্তে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পরপর দুদিন হামাসের দুই বড় নেতার মৃত্যুর খবর এল। এখন প্রশ্ন, এতে কি যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, নাকি গাজা ভূখণ্ডের দখল নিতে সক্ষম হবে ইজরায়েল।
বুধবার জানা গেছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি 'গুপ্ত' হামলায় মৃত্যু হয় হামাস গোষ্ঠীর প্রধান ইসমাইল হানিয়ের। তিনি তেহরানে ছিলেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই অনুষ্ঠানের পরই তার বাসস্থানে হামলা চালানো হয়।
শুধু হামাস নয়, হিজবোল্লার ওপরও ক্রমাগত আক্রমণ করেছে ইজরায়েল। ইতিমধ্যে তাঁদের তরফে এও দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলে রকেট হামলার মূল চক্রী হিজবোল্লা কমান্ডোরকে তারা খতম করেছে। ইজরায়েল জানিয়েছে, রকেট হামলার পিছনে ছিল হিজবোল্লা কমান্ডোর ফুয়াদ শোকর। লেবাননের রাজধানী বেরুটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা হামলা চালিয়ে তাকে খতম করেছে। এই ঘটনায় আরও তিনজন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর। যদিও হিজবোল্লা সংগঠন ফুয়াদ শোকরের মৃত্যুর বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।