শেষ আপডেট: 14th January 2025 18:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসার আগেই গাজা খাঁড়ি এলাকায় যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস। ইজরায়েল-হামাসের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কাতার প্রশাসন মঙ্গলবার এই খবর জানিয়ে বলেছে, চুক্তিতে সিলমোহর না পড়লেও দুপক্ষই যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে রাজি হয়েছে। মোট তিন পর্যায়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ ও জখম ৩৩ জন বন্দিকে ছাড়া হবে। পরিবর্তে ইজরায়েলের হাতে বন্দি কয়েকশো প্যালেস্তিনীয় শিশু-মহিলা, পুরুষকে ছেড়ে দেওয়া হবে ইজরায়েলি জেল থেকে।
ইজরায়েল এবং কাতারের দুই কর্তাব্যক্তি জানান, যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে খসড়া রূপরেখাটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তবে হামাস পক্ষ আগের থেকে অনেকটাই নরম হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ক্ষমতায়নের সমীকরণে অনেকটাই বদল ঘটবে। তার আগেই ইজরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইছে হামাস বাহিনী।
খসড়া চুক্তির বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, এক মিশরীয় এবং হামাসের কর্তাও এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এবারে ইজরায়েলি পার্লামেন্ট এই চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত দিলেই তা ছাড়পত্র পাবে। আমেরিকা, মিশর ও কাতার গত একবছরের বেশি সময় ধরে এই চুক্তির ব্যাপারে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে হামাস বাহিনীর অতর্কিত হামলার পর কয়েক ডজন বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বন্দি করা হয়।
সরকারি আধিকারিকদের বিশ্বাস ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অর্থাৎ ২০ জানুয়ারির আগেই এই চুক্তি সম্পাদিত হয়ে যেতে পারে। কারণ ট্রাম্পের আরব দেশ বিষয়ক দূত এই আলোচনার টেবিলে উপস্থিত ছিলেন। কাতারের বিদেশ মুখপাত্র জানিয়েছেন, চলতি আলোচনার মঙ্গলবার ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ শেষ হয়েছে। চুক্তির ব্যাপারে আমরা একেবারে শেষ বিন্দুতে এসে পৌঁছাতে পেরেছি। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে।