শেষ আপডেট: 31st July 2024 10:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হামাস গোষ্ঠীর প্রধান ইসমাইল হানিয়ে এবং তার দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। এমনটা জানানো হয়েছে খোদ সংগঠনের পক্ষ থেকেই। ইরানের রাজধানী তেহরানে তার বাসস্থানে একটি 'গুপ্ত' হামলা চালানো হয়েছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে দুজনের, জানিয়েছে হামাস।
হানিয়ে তেহরানে ছিলেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই অনুষ্ঠানের পরই তার বাসস্থানে হামলা চালানো হয়। হামাস তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসমাইল এবং তার দেহরক্ষীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে কারা হামলা চালিয়েছে সে ব্যাপারে জানতে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে তারা।
গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস গোষ্ঠী। সেই হামলায় কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই বিগত কয়েক মাস ধরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ইজরায়েল। তারাও পাল্টা হামলা করেছে গাজায়। সেই হামলায় আবার কয়েক হাজার প্যালেস্টেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। হামাসের দাবি, ইজরায়েলের হামলায় ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। আরও প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভূ-খণ্ড ছেড়ে চলে গেছেন অন্য সীমান্তে।
৭ অক্টোবরের হামলার পর ইজরায়েল দাবি করেছিল যে, তারা হামাস প্রধান হানিয়েকে হত্যা করেই ছাড়বে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি সেনা এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন হানিয়ে। তার বহু বছর আগে ১৯৮৯ সালে হানিয়েকে তিন বছর বন্দী করে রেখেছিল ইজরায়েল। পরবর্তী সময়ে তাকে ইজরায়েল এবং লেবাননের মাঝে এক 'নো-ম্যানস-ল্যান্ড' এলাকায় নির্বাসিত করা হয়। নির্বাসন কাটিয়ে আসার পর ১৯৯৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর সদস্য হন হানিয়ে।
উল্লেখ্য, বুধবারই খবর মিলেছে ইজরায়েলে রকেট হামলার পিছনে থাকা হিজবোল্লা কমান্ডোর ফুয়াদ শোকরকে খতম করেছে সে দেশের সেনা। গত শনিবার রাতে উত্তর ইজরায়েলে গোলান মালভূমি যা হিজবোল্লা 'অধিকৃত', সেখানে রকেট হামলা চালিয়েছিল ওই গোষ্ঠী। তাতে ১২ জন শিশুর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার তিনদিন পর ইজরায়েল দাবি করেছে, রকেট হামলার মূল চক্রীকে তারা খতম করেছে।