শেষ আপডেট: 15th February 2025 15:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী মাসেই পৃথিবীতে ফিরতে চলেছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোর। আপাতত যে খবর মিলেছে, নাসা এবং স্পেস এক্সের রকেট ১২ মার্চ স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেবে। ১৯ মার্চ সুনীতাদের নিয়ে সেই রকেট ফিরে আসার কথা। কিন্তু এত মাস মহাকাশে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরতে কার্যত 'ভয়' পাচ্ছেন তাঁরা। কী কারণ?
দীর্ঘ সময়ে মহাকাশে থাকার কারণে মহাকাশচারীদের শরীরে বহু পরিবর্তন আসে। হার্ট, লিভার, পাকস্থলী থেকে শুরু করে বেশিরভাগ অঙ্গে সমস্যা দেখা যায়। কারণ স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মহাকাশের বিরাট তফাৎ। ঠিক এই জায়গাতেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে সুনীতাদের নিয়ে। ব্যারি উইলমোর ইতিমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমকে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার দিয়ে ব্যারি জানিয়েছেন, ''মাধ্যাকর্ষণ নিয়েই আমাদের ভাবনা। বিষয়টি খুবই চাপের। ফিরে আসার পর এর সঙ্গেই আমাদের সবথেকে বেশি লড়াই করতে হবে। সারা শরীর থেকে তরল টেনে নেবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। পেনসিল তুললেও মনে হবে লোহা তুলছি। সেটাও জিম করার সমান হবে!'' মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণের বালাই নেই। তার ওপর সুনীতাদের ৮ দিনের জায়গায় ৮ মাস থাকতে হয়েছে স্পেস স্টেশনে। সেক্ষেত্রে শরীরে যে বাড়তি চাপ পড়বেই, তা পরিষ্কার।
সুনীতা উইলিয়ামস আবার বলছেন, ''মহাকাশ থেকে ফেরার পর পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া একটা দৈনন্দিন প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়বে। কারণ সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে পেশিতে। শরীরকে সচল রাখতে কদিন আগে স্পেসওয়াক করেছিলেন সুনীতা। যদিও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে স্পেসওয়াকের কোনও ভূমিকা নেই।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সুনীতাদের উদ্ধার করতে যে অভিযান শুরু হবে তার নাম ক্রু ১০ মিশন। এই অভিযানে স্পেস স্টেশনে যাবেন নাসার মহাকাশচারী অ্যানি ম্যাকলেন, নিকোল এয়ারস, জাপানের মহাকাশচারী তাকুয়া ওনিসি, রসকসমস কসমোনৌট পেসকভ। সুনীতারা স্পেস স্টেশন ছাড়লে তাঁরাই তাঁদের জায়গা নেবেন।