শেষ আপডেট: 8th March 2025 17:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহায্য বন্ধের ঘোষণার পরেই অর্থ সঙ্কটে পড়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মূলত মার্কিন ডলারে খয়রাতি করা রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন খরচে রাশ টানতে বিপুল পরিমাণে কর্মী ছাঁটাইয়ের কাজ হাত দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সহায়ক সংগঠনগুলির প্রায় প্রত্যেকটি থেকে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তান, সুদান ও ইউক্রেন সহ অন্য দেশগুলিতে যে সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী প্রকল্পের কাজ চলে সেগুলিও বন্ধ হতে যাচ্ছে। এছাড়াও রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে কাজ করা অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও সাহায্য গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুয়াতেরেস বলেন, আফগানিস্তানের প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। ২০২৪ সালে ইউক্রেনের ১০ লক্ষ লোককে নগদ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাও বন্ধ। অন্যদিকে, সুদানের উদ্বাস্তু সমস্যায় যেসব অর্থসাহায্য করা হচ্ছিল তাতেও ঝাঁপ পড়েছে। এরকম অনেক কর্মসূচি বন্ধ হতে বসেছে বলে জানান গুয়াতেরেস।
অর্থ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ তাদের বহু কর্মসূচি ও সেবাকার্যের খরচ পুনর্বিবেচনা করছে। বহু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয়ভার কমিয়ে আনছে। অন্য জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে পূর্বেকার মতো আমেরিকার অর্থ সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে যায়। যদিও ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনেক প্রকল্প ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের হাই কমিশন ফর রেফিউজিস অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছে, মার্কিন তহবিলের ঝাঁপি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মসূচিতে প্রভাব পড়েছে। খরচে কাটছাঁটের পদক্ষেপে প্রথম দফাতেই ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ব্যয় কমানো হয়েছে। এই সংস্থা আমেরিকার কাছ থেকে গতবছর ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ মোট ৪০ শতাংশ বাজেট পেয়েছিল। যার ফলে মধ্য আফ্রিকার দেশ যেমন উগান্ডা এবং দক্ষিণ সুদানের প্রায় ১.৮ লক্ষ উদ্বাস্তু মহিলা ও মেয়েদের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ইথিওপিয়ায় এই সংখ্যাটি দাঁড়াচ্ছে ২ লক্ষের মতো। মুখপাত্র ম্যাথু সল্টমার্শ জানান, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই জীবনরক্ষার মতো কর্মসূচিও বাতিল করতে হবে।
উদ্বাস্তু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংগঠন জানিয়েছে, ৩০০০ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের নোটিস দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রেসি়ডেন্ট পদে বসেই প্রথম ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তারপরেই স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, এতে তাদের বেশ কয়েকটি কর্মসূচির দরজা বন্ধ হতে চলেছে আর অনেকগুলি একেবারে ভেঙে পড়ার অবস্থায়।