শেষ আপডেট: 15th May 2024 12:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সব বিষয়ে পশ্চিমী দেশ এবং আমেরিকার নাক গলানোকে কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায় যেসব দেশ ভোটের ফলাফল নির্ণয় হয় আদালতে, তাঁরা আবার আমাদের 'জ্ঞান' দেয়। বুধবার ভারতের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলির সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন জয়শঙ্কর। সবাই নেতিবাচক দৃষ্টিতে ভারতের রাজনীতিকে উপস্থাপিত করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দরচুক্তি নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য এই চুক্তি গোটা অঞ্চলের উপকারে লাগবে। এই চুক্তি নিয়ে মার্কিন অবরোধের প্রচ্ছন্ন হুমকিকে পাত্তা না দিয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্প গোটা এলাকায় সুফল দেবে। যারা এটা মেনে নিতে পারছে না, তারা সংকীর্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে।
কলকাতায় তাঁর লেখা 'হোয়াই ভারত ম্যাটারস' বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশের জন্য শহরে এসেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে আলাপচারিতার সময় দেশ ও বিদেশনীতি নিয়ে অনেক কথা বলেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রীয় আমলা। পশ্চিমী দেশগুলি ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওদের ছাড়া সকলের উপর খবরদারি চালাচ্ছে। আর তাই ভারতের স্পর্ধা দেখে ওরা এখন আঁতকে উঠছে।
খবরদারি করাটা ওদের অভ্যাসের পরিণত হয়ে গিয়েছে। ফলে আপনারা কী করে আশা করেন যে, ওরা এত সহজে পুরনো অভ্যাস ঝেড়ে ফেলবে! পশ্চিমী দেশগুলির মিডিয়াকে আক্রমণ করে জয়শঙ্করের অভিযোগ, ওরা এত একচোখো কেন? ভারত সম্পর্কে কেন ভালো কিছু ভাবতে পারে না!
কানাডা ও আমেরিকার নাক গলানোর স্বভাবকে উল্লেখ না করেই জয়শঙ্কর বলেন, এটা ওদের পুরনো অভ্যাস। ওদের লক্ষ্যে বিশ্বের দরবারে ভারতকে হেয় করা। ওরা যে একসময় দাদাগিরি চালাত তা ছাড়তে পারছে না। এইসব দেশই ভোটের ফলের জন্য আদালতে যায়। আর তারাই ভারতের গণতন্ত্র তুলে জ্ঞান দিতে চায়। আমরা কীভাবে নির্বাচন করব, তাও ওরাই ঠিক করে দেবে, প্রশ্ন বিদেশমন্ত্রীর।
জয়শঙ্কর বলেন, ওদের কল্পনায় ভারত কীরকম হবে, তা নিয়েই চিন্তাভাবনা ওদের। এদেশের মানুষ কী চায়, তাদের সংস্কৃতি এসব নিয়ে ওদের মাথাব্যথা নেই।