শেষ আপডেট: 4th February 2025 16:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করতে হবে তা নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরেই নানা বিতর্ক চলছে। ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি প্রথম দাবি করেছিলেন ৭০ ঘণ্টা কাজের। পরে এল অ্যান্ড টি-র চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যম দাবি করেন সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের। তবে সব সীমাকে কার্যত ছাড়িয়ে গেছেন ইলন মাস্ক। তাঁর নতুন সংস্থায় কর্মীদের কত ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে তা শুনে চমকে গেছেন সকলেই।
১২০ ঘণ্টা!
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই মাস্কের নেতৃত্বে সরকারের নতুন বিভাগের কাজ শুরু হয়েছে। সেই বিভাগের নাম ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডজ। এই বিভাগে কাজের জন্য যখন লোক নেওয়া হচ্ছিল তখনই মাস্ক জানিয়েছিলেন, কাজ করতে গেলে সপ্তাহে কমপক্ষে ৮০ ঘণ্টার ওপর কাজ করতে হবে, আর মিলবে না কোনও বেতনও! কিন্তু এখন তিনি স্পষ্ট করলেন, ৮০ বা ১০০ নয়, এই বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন সপ্তাহে ১২০ ঘণ্টা।
ইতিমধ্যে জানা গেছে, এই সংস্থার তরফে গুরু দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ৬ জন ইঞ্জিনিয়ারের হাতে। তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আকাশ বোব্বার নাম। জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে তাঁদের গড় বয়স মেরেকেটে ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
কে এই আকাশ বোব্বা? জানা গেছে, এর আগে মাস্কের এআই কোম্পানি xAI-তে অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট (OPM)-এর বিশেষজ্ঞ হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন ২২ বছর বয়সি বোব্বা। তিনি বার্কলেতে মাস্কের একাধিক সংস্থার প্রোগ্রামের অংশ ছিলেন এবং মেটা, প্যালান্টির এবং বিখ্যাত হেজ ফান্ড ব্রিজওয়াটার অ্যাসোসিয়েটস সহ প্রধান প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে মেটার জন্য এআই মডেল লিখেছিলেন আকাশ। ২০ বছর বয়সে প্যালান্টিরে ইন্টার্নশিপ করেন। এরপরের বছর বার্কলে থেকে স্নাতক হন। ২২ বছর বয়সে মার্কিন সরকারী ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণের জন্য গোপন অ্যাক্সেস তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই বিশেষ টাস্কফোর্স ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাই, বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সংকোচন এবং ফেডারেল নিয়মকানুন শিথিলের মাধ্যমে সরকারি খরচ কমানোর লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। তবে তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু তার থেকেও বড় বিতর্ক সৃষ্টি করল সপ্তাহে ১২০ ঘণ্টা কাজ করার বিষয়টি। এক কথায়, নারায়ণ মূর্তি, এসএন সুব্রহ্মণ্যমকে বলে বলে গোল দিলেন মাস্ক।