দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইলন মাস্ক দুহাত ভরে তাঁকে খয়রাতি কাটছাঁটের বুদ্ধি দিয়ে এসেছেন। কিন্তু, সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত সংযমে বিশ্বাসী নন ৫৩ বছর বয়সি মাস্ক। তাঁর স্বপ্ন ঘর ভর্তি বাচ্চা কিলবিল করবে চারধারে। সে কারণেই মধ্যবয়সেও পিতৃত্বের আনন্দ পেতে চান ট্রাম্পের উপদেষ্টা। স্ত্রীর মাধ্যমে না হলেও ১৪ বাচ্চার বাপ মাস্ক তাঁর সন্তানের মা হওয়ার জন্য বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (WSJ) নামে একটি সংবাদমাধ্যম এই মারাত্মক খবর ছেপেছে।

বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্কের ইচ্ছে তাঁর ঘরে বাচ্চাদের একটি বাহিনী গড়ে উঠুক। সে কারণেই মাস্ক এক্সে এই কথা লিখে বার্তা দিয়েছেন। মাস্কের সন্তান ধারণের উপযুক্ত মা নিয়োগ করতে চেয়ে প্রাক্তন এক বান্ধবীকেও বিকল্প মাতৃত্বের প্রস্তাব দিয়েছেন। খবরে জানা গিয়েছে, তিনি বেশ কয়েকজন মহিলাকে তাঁর সন্তান ধারণের অনুরোধ জানিয়ে সরাসরি মেসেজ পাঠিয়েছেন। কারণ তিনি সন্তানের একটি বাহিনী গড়তে চান বলে মজা করে লিখেছেন মাস্ক।

১৪ সন্তানের বাবা মাস্কের আরও সন্তান কেন প্রয়োজন? নিজেই সেকথা খোলসা করে জানিয়েছেন লক্ষ কোটিপতি ব্যবসায়ী। জন্মহার কমে আসায় সভ্যতার সংকট দেখা দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। তাই এই গ্রহকে মানুষের কোলাহলে ভরে তুলতে তিনি মহিলাদের কাছে তাঁর বীর্য ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর জন্য তিনি বিকল্প মাতৃত্বের লোভনীয় অফার দিচ্ছেন। যে মহিলা মাস্কের বীর্য ধারণ করে গর্ভবতী হতে প্রস্তুত, সামাজিক কারণে তাঁর পরিচয় ও নিজস্ব সম্পর্কের কথা গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মাস্ক।

এমনিতেই মাস্কের চার সঙ্গিনী রয়েছেন। জাস্টিন উইলসন, গায়িকা-গীতিকার গ্রিমস, নিউরোলিঙ্কের ডিরেক্টর শিভোঁ জিলিস এবং লেখিকা অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই খবর অবশ্য মাস্কের নজর এড়ায়নি। তিনিও একটি পোস্টে লিখেছেন, "TMZ >> WSJ"। উল্লেখ্য, টিএমজেড হল একটি গুজব ছড়ানোর ওয়েবসাইট, যারা সেলিব্রিটিদের নিয়ে নিত্যনতুন খবর লেখে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অবশ্য এও লিখেছে যে, জাপানের এক ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনফ্লুয়েন্সার টিফানি ফং-কে মাস্ক সরাসরি মা হওয়ার বার্তা পাঠিয়েছেন। গতবছর মাস্ক তাঁকে এক্স-এ ফলো করতে শুরু করেন। লাইক দেওয়া-পাওয়া নিয়ে সম্পর্কে বীজ বোনা হতে থাকে। তারপরেই দেখা যায় তাঁর রোজগার বেড়ে ২১,০০০ ডলার হয়ে গিয়েছে। যদিও ফং মাস্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, কৌতূহল দমাতে না পেরে ফং তাঁর এক বন্ধু এবং মাস্কের বান্ধবী অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ারকে জানান। টেসলার সিইও জাপানের সরকারি কর্তাব্যক্তিদের মাধ্যমে এক হাই-প্রোফাইল জাপানি নারীকে বীর্য পাঠিয়েছেন বলেও খবরে লেখা হয়েছে।