শেষ আপডেট: 8th August 2024 20:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাত্র ৮ দিনের কাজে মহাকাশে গেছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোর। কিন্তু ৮ দিন এবং কয়েক মাসে পরিণত হয়েছে এবং তা বছরে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ নাসা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে তাঁরা কবে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারবে। যদিও সূত্রের খবর, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা করছে নাসা।
যে বোয়িং স্টারলাইনার রকেটে চেপে মহাকাশে গেছিলেন সুনীতা এবং বুচ তাতে ত্রুটি দেখা গেছিল। তাই এখনও পর্যন্ত তাঁরা পৃথিবীতের ফিরতে পারছেন না। সুনীতাদের কীভাবে ফেরানো যেতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যে ১ লক্ষেরও বেশি মডেল-টেস্ট করেছে নাসা। তবে কোনও ভাবেই কোনও সুরাহা মিলছে না। এবার জানা গেল, ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স-এর সঙ্গে যৌথভাবে একটি মহাকাশযান তৈরি করছে নাসা। সেটাই মহাকাশে পাঠিয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।
নাসা এবং স্পেস এক্স-এর যৌথ এই মিশনটির নাম দেওয়া হয়েছে ক্র-৯। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ওই যানে দুজনকে মহাকাশে পাঠানো হবে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতাদের নিয়ে সেটি আবার পৃথিবীর দিকে ফিরবে। এই মিশন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হতে পারে। প্রসঙ্গত, যে বোয়িং স্টারলাইনার রকেটে চেপে মহাকাশে গেছেন সুনীতা এবং ব্যারি তাতে একটি নয়, অন্তত চার জায়গা থেকে হিলিয়াম গ্যাস লিক করেছিল। এই রকেটের নকশা তৈরির পিছনে নাসারও হাত রয়েছে। তাই তাঁরা কেন এই গ্যাস লিকের বিষয়টি নিয়ে সচেতন হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বড় চিন্তার বিষয়, স্টারলাইনার ক্যাপস্যুল সর্বাধিক ৯০ দিন পর্যন্ত স্পেস স্টেশনে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে নাসা। তার পরে শেষ হয়ে যাবে তার ব্যাটারি। ইতিমধ্যেই সেখানে সুনীতাদের ৫০ দিনের হয়ে গেছে। এই অবস্থায় মহাকাশচারীদের শরীর খারাপ হতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। দুজনের পেশি শিথিল হয়ে যাচ্ছে, হাড়ের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। যদিও নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের সমস্যা হওয়া মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাপার। তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এর আগে, ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। একসময় সর্বোচ্চ স্পেসওয়াকের রেকর্ডও তাঁর দখলে ছিল। সুনীতাদের এই মিশন অবশ্য অনেক আগেই হত। কিন্তু প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে যায় একাধিকবার। এখন আবার মহাকাশে পৌঁছনোর পর অন্য সমস্যার মুখে পড়েছেন সুনীতারা।