শেষ আপডেট: 8th January 2025 07:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সময় যত গড়াচ্ছে তিব্বতের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। শেষ পাওয়া খবর, মিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬। আহতদের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে ভারত। তবে শোকবার্তায় ভুল করেও চিনের নাম সামনে আনা হয়নি। গত কয়েক মাসে চিন তিব্বতের নাম পাল্টে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।
মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলে প্রাণহানি এবং সম্পত্তি নষ্টের যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ভারতের মানুষজন এবং সরকার সমবেদনা জানায়। মৃত ও আহত এবং তাঁদের পরিবারের জন্য সবসময় প্রার্থনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ নাগাদ প্রথম কম্পনটি হয়। তার কিছুক্ষণ পরই কেঁপে ওঠে চিনের শিজাং। পরপর ৫ বার আফটারশক অনুভূত হয়। দ্বিতীয় কম্পনটি হয় সকাল ৭টা ২ নাগাদ। কম্পন মাত্রা ছিল ৪.৭। ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আবার তৃতীয় কম্পন হয় সকাল ৭টা ৭-এ। তীব্রতা ছিল ৪.৯। প্রথম দু'টি ভূমিকম্প হয়েছে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে। ছ'মিনিট পরে আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৫।
তবে ভূমিকম্পের তীব্রতা নিয়ে চিন এবং আমেরিকা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা তথ্য সামনে আনা হচ্ছে। চিনের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। অন্যদিকে, আমেরিকার দাবি, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.১। যার প্রভাব পড়েছে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছেন। সরকারি আধিকারিকেরা ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন।
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডিংরি কাউন্টির জিগাজে শহর লাগোয়া জোগো এলাকার ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। চিনা ভূমিকম্প সংস্থার তরফে যেখানে জানানো হয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। আর তার ফলেই চরম ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে এক ঘণ্টার মধ্যে একাধিক আফটার শক অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে সেগুলির মাত্রা চার থেকে পাঁচের মধ্যে ছিল বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর।