শেষ আপডেট: 7th January 2025 12:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বেজিং প্রশাসন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। কয়েকশো ঘরবাড়ি ভেঙেচুরে নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন এখনও বহু মানুষ। মৃত ও জখমদের খুঁজতে ও উদ্ধারে চিনা সেনাবাহিনী দুর্গত এলাকায় ড্রোন নামিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী অনুসন্ধানী ড্রোন পাঠিয়েছে।
ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের তরফে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া মাত্রই বিমানবাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই দুর্গতদের উদ্ধারে পরিবহণ, চিকিৎসা, হেলিকপ্টার এবং সেনাবাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে। সর্বশেষ খবরে জানা গিয়েছে, এদিন ভারতীয় সময় বেলা ১১টা ২৭ মিনিট নাগাদ ফের একটি আফটারশকে কেঁপে ওঠে শিজাং (তিব্বত) স্বশাসিত এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৫। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সকলকে সর্বাত্মক শক্তিতে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
হিমালয়ের উত্তর পাদদেশ এলাকার নেপাল-তিব্বতের সীমান্ত এলাকায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। তীব্র ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে তিব্বত, নেপাল, ভুটান, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এমনকী দক্ষিণ ভারতেরও কোনও কোনও এলাকায়। এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তরভাগের গেটওয়ে বলে খ্যাত টিংরি নামে একটি গ্রামীণ তালুকে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। চিনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাটি থেকে ১০ কিমি নীচে ভূমিকম্পের উৎস ছিল।
এদিন সকাল ৬টা ৩৫ নাগাদ প্রথম কম্পনটি হয়। তার কিছুক্ষণ পরই কেঁপে ওঠে চিনের শিজাং। পরপর ৫ বার আফটারশক অনুভূত হয়। দ্বিতীয় কম্পনটি হয় সকাল ৭টা ২ নাগাদ। কম্পন মাত্রা ছিল ৪.৭। ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আবার তৃতীয় কম্পন হয় সকাল ৭টা ৭-এ। তীব্রতা ছিল ৪.৯। প্রথম দু'টি ভূমিকম্প হয়েছে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে। ছ'মিনিট পরে আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৫।