শেষ আপডেট: 8th January 2025 15:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইস্তফা দিলেও পড়শি দেশ দখলে নজর পড়েছে আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডাকে মার্কিন জাতীয় পতাকার তলায় নিয়ে আসতে সেদেশের উপর আর্থিক বলপ্রয়োগের হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হবু প্রেসিডেন্ট আমেরিকা-কানাডাকে জুড়ে একটি অবিভক্ত মানচিত্র প্রকাশ করেছেন। যাতে আমেরিকা ও কানাডার ভূখণ্ডকে মার্কিন জাতীয় পতাকায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই এই কীর্তি দেখে হতবাক হয়ে পড়েছে কানাডার শাসক দল লিবারেল পার্টি। তারাও ট্রাম্পের মুখের উপর জবাব দিয়ে আর একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে কানাডা ও আমেরিকার ভূখণ্ডকে পৃথক করে দেখিয়েছে। তারা মানচিত্রে লিখে চিহ্নিত করে দিয়েছে, ইউনাইটেড স্টেটস এবং নট দ্য ইউনাইটেড স্টেটস। একইভাবে ফ্রান্সও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বভৌম সীমান্তের দিকে নজর দেওয়া নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
বুধবার ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারির সুরে ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ডেনমার্কের স্বশাসিত এলাকা গ্রিনল্যান্ড দখলের মতলব নিয়ে সতর্ক থাকতে বলে। একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলে মার্কিন সেনা অভিযানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তারপরেই ফ্রান্স এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বভৌম সীমান্তে বিশ্বের কোনও দেশ আক্রমণ চালাবে তা মেনে নেওয়া হবে না। ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী জানান, তাঁরা বিশ্বাস করেন না যে, আমেরিকা গ্রিনল্যান্ড আগ্রাসনে অভিযানে নামবে। তবে এমনটা ঘটলে তা মেনে নেওয়া হবে না, তা সে যে দেশই হোক না কেন!
এইসব গতিপ্রকৃতির মূল কারণ হচ্ছে, ট্রাম্প এর আগেই কানাডা অধিগ্রহণের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে সেক্ষেত্রে সামরিক বলপ্রয়োগ না করে, ভাতে মারার নীতি নিয়ে কানাডা দখল করার সম্ভাবনা নিয়ে হুমকি দেন ভাবী প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১-তম প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন খোদ ট্রুডোর কাছেই। ট্রাম্প জেতার পর ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-আ-লাগো রিসর্টে দেখা করতে এসেছিলেন ট্রুডো। সেখানেই ট্রাম্প একথা জানিয়ে দেন। শুধু কানাডাই নয়, ট্রাম্পের নজরে রয়েছে গ্রিনল্যান্ড ও পানামা ক্যানাল দখল করাও। এর মধ্যে পানামা ক্যানাল হল অতলান্তিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরের ভিতর যোগাযোগের অন্যতম জলপথ।