কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শেষ আপডেট: 22nd July 2024 07:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জো বাইডেনের চেয়ে কমলা হ্যারিসকে হারানো অনেক সহজ হবে! আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থীপদ থেকে বাইডেন নিজের নাম তুলে নেওয়ার পরে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তাঁর বিরোধী, রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে বাইডেনের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকা প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা প্রেসিডেন্ট পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ আপাতত আমেরিকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে থাকা কমলা হ্যারিস বাইডেনের জায়গায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পদপ্রার্থী হতে চলেছেন। তিনিই লড়বেন রিপাবলিকান প্রার্থী তথা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
রবিবার জো বাইডেন লড়াই থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করার পরে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথে লিখেছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে বসার জন্য বা দেশের কাজ করার জন্য মোটেই ফিট ছিলেন না বাইডেন। তিনি এও লেখেন, 'বাইডেনের প্রেসিডেন্ট থাকার জন্য আমরা বেশ ভুগব। তবে মন্দের ভাল এটাই, যে উনি যা যা ক্ষতি করেছেন, তা দ্রুত ঠিক করে নেওয়া যাবে।'
শুধু তাই নয়, বাইডেন সরে যাওয়ার কথা জানার পর থেকেই ট্রাম্প এবং তাঁর দল রীতিমতো পরিকল্পনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছেন, যেন ট্রাম্প কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ইতিমধ্যে জিতেই গেছেন।
রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাইডেন বলেছেন, ''আমার দল এবং দেশের জন্য এটাই সবথেকে ভাল সিদ্ধান্ত। তবে চলতি সপ্তাহের শেষে আমি এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে সকলকে জানাব।'' বাইডেন এও দাবি করেছেন, তাঁর আমলেই আমেরিকা সবথেকে বেশি প্রগতি করেছে, বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হয়েছে। তাঁর কথায়, এর থেকে ভাল জায়গায় আমেরিকা আগে কখনও ছিলই না।
বিগত কয়েক মাস ধরে বাইডেনের শরীর ভাল যাচ্ছিল না বলে খবর রটেছিল। কোভিডও হয়েছিল গত সপ্তাহে। তাছাড়া অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে 'অসংলগ্ন' আচরণ করতে দেখা যাচ্ছিল। কখনও ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে স্যালুট করেছেন তিনি, কখনও আবার এক জায়গায় বহুক্ষণ একভাবে দাঁড়িয়ে থেকে সন্দেহ বাড়িয়েছেন। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন বাইডেন কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও হোয়াটস হাউসের তরফে এমন কিছুই স্বীকার করা হয়নি।
এমনিতেই তাঁর অসংখ্য ভুলভ্রান্তি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিয়ে শোচনীয় পারফরম্যান্স, সব মিলিয়ে বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছিল বৈকি। ডেমোক্র্যাটদের অন্দরমহল থেকেও তাঁকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সেই প্রেক্ষিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই সকলের ধারণা।