ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক।
শেষ আপডেট: 13th August 2024 10:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে আমেরিকায়। জোর কদমে চলছে প্রচার। মুখোমুখি রণং দেহী দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা বর্তমান রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী কমলা হ্যারিস। সেয়ানে সেয়ানে চলছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই অবস্থায় ইলন মাস্কের মুখোমুখি হলেন ট্রাম্প। দিলেন খোলামেলা সাক্ষাৎকার।
অনেকেই বলছেন, ইলন মাস্কের মতো মার্কিন ধনকুবেরও সমর্থন করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মাস্কের ইন্টারভিউ নেওয়া সেদিকেই ইঙ্গিত আরও প্রকট করছে।
এদিন সাক্ষাৎকারে তাঁর উপর গুলি হামলা নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প। বলেন, 'একটু এদিক-ওদিক হলেই কিছু হয়ে যেতে পারত।' অর্থাৎ তিনি গুলি লেগে মারাও যেতে পারতেন বলে জানান।
১৩ জুলাই বেথেল পার্কের একটি জনসভায় ট্রাম্পের উপর গুলির হামলা হয়। অভিযুক্ত যুবক টমাস ক্রুকের ছোড়া একটি গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সেই প্রসঙ্গে এদিন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম, বুলেট আমার দিকে এসে কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তার পরেই মাথা নিচু করে বসে পড়ি। তখন বুঝি, মাথার উপর দিয়েও বেরিয়ে গিয়েছে একটা বুলেট। কোনও কারণে একটু এ দিক, ও দিক হলেই অন্য কিছু হতে পারত।’
সেদিন ঘটনাস্থলের ভিডিওয় দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থাতেও হাত মুঠো করে 'ফাইট ফাইট' বলে চিৎকার করেছিলেন ট্রাম্প। ইলন মাস্ক সেই ভিডিও-র প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সেই ঘটনা ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করেছিল তাঁকে। মাস্ককে এর পরে ট্রাম্প জানান, তিনি ভীত নন, অক্টোবর মাসেই আবার পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে যেতে চান। একই জায়গায় সভা করবেন।
এদিন ইন্টারভিউতে সরাসরি বাইডেনকে নিশানাও করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, বাইডেনকে তিনি বিতর্কে খুব বাজে ভাবে হারিয়েছিলেন বলেই বাইডেন বুঝতে পারেন, তিনি লড়তে পারবেন না। তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে বেরিয়ে যান। তারপরেই ডেমোক্র্যাটরা তাঁকে সরিয়ে কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে প্রার্থী করা হয়।
সোমবার রাত ৮টা ৪২ মিনিটে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান শুরু করেন মাস্ক। এদিন ট্রাম্প-মাস্কের ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার পরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থমকে গিয়েছিল। কারণ এক্স হ্যান্ডেলে অসংখ্য মানুষ সরাসরি ট্রাম্পকে প্রশ্ন করতে চাইছিলেন। এর ফলে হঠাৎ করে ট্রাফিক অনেকটা বেড়ে যায়, যে জন্য যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে ৪৫ মিনিট মতো থমকে গিয়েছিল ইন্টারভিউ।
দেখুন লাইভ ইন্টারভিউ।