শেষ আপডেট: 3rd December 2024 12:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠীর সঙ্গে ইজরায়েলের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরে বড় ভূমিকা নিয়ে আমেরিকা। জো বাইডেন আশাপ্রকাশ করেছেন যে, এই চুক্তি দীর্ঘমেয়াদি হবে এবং আবার শান্তি ফিরে আসবে আরব দুনিয়ায়। তবে ইজরায়েল-হামাসের সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ এখনও কমেনি। এই অবস্থায় আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরাট হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন গাজার হামাস গোষ্ঠীকে।
নভেম্বরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁর পদে বসতে এখনও দেরি। আগামী জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শপথ নিতে পারেন। তার আগেই হামাসকে কার্যত ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। স্পষ্ট বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে যদি হামাস গাজার বন্দিদের না ছাড়ে তাহলে অন্যরকম পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
প্রায় ১৪ মাস ধরে গাজার পরিস্থিতি টালমাটাল। ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘাতের পর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা স্ট্রিপ। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছেন, দেড় বছরের বেশি সময় পেয়েও জো বাইডেন প্রশাসন গাজায় শান্তি ফেরাতে পারেনি। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিয়েই শান্তি ফেরানোর কাজ করবেন। এই প্রেক্ষিতেই তিনি হামাসকে চরম বার্তা দিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছেন গাজার বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে।
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারির মধ্যে যদি হামাস গাজার বন্দিদের না ছেড়ে দেয় তাহলে যারা এই অমানবিক পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে তাদের জীবন নরক বানিয়ে দেওয়া হবে! আরব দুনিয়ার ভোল পাল্টে যাবে ২০ তারিখের পর। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথমে হামাস আক্রমণ করে ইজরায়েলকে। তারপর থেকেই রক্তের খেলা চলছে। এখনও পর্যন্ত পাল্টা ইজরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি।
এদিকে আবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাঁর এবং সে দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে আইসিসি-তে আর্জিও জানিয়েছে ইজরায়েল।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ইজরায়েলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স। তাঁরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে। অপরদিকে ব্রিটেন এবং কানাডার মতো দেশ চায় বেঞ্জামিনকে গ্রেফতার করা হোক।