শেষ আপডেট: 6th March 2025 08:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তখনও দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই সময়ই হামাসকে (Hamas) হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, গাজার (Gaza) বন্দিদের না ছাড়লে তাদের জীবন নরক বানিয়ে দেবেন। সেটাকে যদি পরোক্ষ হুমকি ধরা যায়, তাহলে এবার সরাসরি হামাস গোষ্ঠীকে প্রাণে মারার হুমকি দিলেন ট্রাম্প। স্পষ্ট বললেন, 'সোজা মেরে দেব!'
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করার পরপরই হামাসকে ডেডলাইন দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছিলেন, ২০ জানুয়ারির মধ্যে যদি হামাস গাজার বন্দিদের না ছাড়ে তাহলে অন্যরকম পদক্ষেপ নেবেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে তো বটেই, পরবর্তী কিছু দিনের মধ্যেও একে একে বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। কিন্তু সবাইকে দেয়নি। এখন এই ইস্যুতেই আরও কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ হামাসের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা, ''ইজরায়েলকে সবরকম সাহায্য পাঠাচ্ছি কাজ শেষ করার জন্য। বন্দিদের এখনই মুক্তি দাও নাহলে মরো! যাদের খুন করা হয়েছে তাঁদের মৃতদেহও ফেরত দিতে হবে। এটাই তোমাদের জন্য লাস্ট ওয়ার্নিং। হয় গাজা ছাড়ো, নাহলে আর পালানোর সুযোগ দেব না।'' একই সঙ্গে ট্রাম্প এও বলেন, গাজার মানুষের জন্য নতুন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। কিন্তু যদি কাউকে আটকে রাখা হয়, বন্দি বানানো হয়, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথমে হামাস আক্রমণ করে ইজরায়েলকে। তারপর থেকেই রক্তের খেলা চলছে। এখনও পর্যন্ত পাল্টা ইজরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। এদিকে আবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তাঁর এবং সে দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে আইসিসি-তে আর্জিও জানিয়েছিল ইজরায়েল।
সেই সময়ে ইজরায়েলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা, ফ্রান্স। তাঁরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে। আর এখন ট্রাম্প ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এবং সরাসরি হামাসকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, ইজরায়েল এই 'যুদ্ধে' শুধু এগিয়ে নয়, জয়ের মুখে।