শেষ আপডেট: 29th January 2025 12:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৬ মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস, ব্যারি বুচ উইলমোর। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের ফেরার কথা থাকলেও তা হবে না বলে জানিয়েছে নাসা। ইতিমধ্যে ইলন মাস্কের স্পেস-এক্সের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে তাঁদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, বাইডেন প্রশাসনের জন্যই এতদিন ধরে মহাকাশে আটকে থাকতে হচ্ছে সুনীতাদের।
গত ২০ জানুয়ারি ফের একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকে একে একে বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এবার সুনীতা উইলিয়ামসদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগও নিলেন ট্রাম্প। আর এই ব্যাপারে তিনি গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন ইলন মাস্ককে। সে ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছেন স্পেস-এক্স কর্তা।
মাস্ক লিখেছেন, 'স্পেস স্টেশন আটকে থাকা দুজনকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ভয়ঙ্কর ব্যাপার যে তাঁদের বাইডেন প্রশাসন এতদিন ধরে নিজেদের হালে ছেড়ে রেখে দিয়েছে।'
The @POTUS has asked @SpaceX to bring home the 2 astronauts stranded on the @Space_Station as soon as possible. We will do so.
— Elon Musk (@elonmusk) January 28, 2025
Terrible that the Biden administration left them there so long.
ট্রাম্পও এর প্রেক্ষিতে তাঁকে বলেন, 'দুই বীর মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনো। ওদের তো বাইডেন প্রশাসনের জন্যই আটকে থাকতে হয়েছে এতদিন ধরে...'। যদিও নাসা বারংবার দাবি করেছে, তাঁরা কেউই আটকে নেই, বরং স্পেস স্টেশনে ভাল আছেন, সুস্থ রয়েছেন।
???? pic.twitter.com/CsZJDUFeAj
— Elon Musk (@elonmusk) January 29, 2025
কী কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফেরানো যাচ্ছে না সুনীতাদের? নাসা জানিয়েছে, স্পেস এক্স-এর যে রকেট তাঁদের উদ্ধারের জন্য পাঠানোর কথা তা সেই সময় লঞ্চ করা যাবে না। সেটা না করা গেলে সুনীতাদের জায়গা অন্য কেউ নিতে পারবেন না। আর স্পেস স্টেশন ফাঁকা রাখতে পারবে না তারা। স্পেস এক্স জানিয়েছে, সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোরের জায়গায় যাদের পাঠানো হবে তাঁদের জন্য রকেট পুরোপুরি প্রস্তুত করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। এখন দেখার ট্রাম্পের নির্দেশ পেয়ে মাস্কের সংস্থা কত দ্রুত সুনীতাদের ফিরিয়ে আনতে পারে।
ফেব্রুয়ারি হোক বা মার্চ, সুনীতারা যখনই পৃথিবীতে ফিরে আসুন তার আগে একাধিক প্রস্তুতি নিতে হবে তাঁদের। কারণ দীর্ঘ সময়ে মহাকাশে থাকার কারণে মহাকাশচারীদের শরীরে বহু পরিবর্তন আসে। হার্ট, লিভার, পাকস্থলী থেকে শুরু করে বেশিরভাগ অঙ্গে বদল আসে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মহাকাশের বিরাট তফাৎ। সম্প্রতি স্পেসওয়াক করে নিজেদের কিছুটা হলেও সচল করেছেন তাঁরা।