শেষ আপডেট: 14th February 2025 08:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমেরিকা সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনায় উঠে এল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদীর উপর ছেড়ে দিলাম।
মোদীর এবারের মার্কিন সফর নিয়ে বাংলাদেশেও সমান কৌতূহল রয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর আলোচনায় আমেরিকার প্রসঙ্গ ওঠে কিনা তা নিয়ে তুমুল কৌতূহল ছিল। বাংলাদেশের বিষয়ে পদক্ষেপ করার ভার ট্রাম্পের পুরোপুরি মোদীর উপর ছেড়ে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
ট্রাম্প প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পরও বাংলাদেশ নিয়ে সরাসরি নাক গলাতেন না। ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে চলত মার্কিন বিদেশমন্ত্রক। এবারও সেই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটালেন না ট্রাম্প। যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বেশ চাপের বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইউনুস সাবেক মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠ। অন্যদিকে, হিলারির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক একেবারেই ভাল নয়। ঘটনাচক্রে, ট্রাম্প এমন এক সময় বাংলাদেশ নিয়ে মোদীকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছেন যখন শেখ হাসিনার পত্যর্পণ নিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে ঢাকা।
শুধু ট্রাম্প নন, সদ্য নিয়োগ পাওয়া মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা অধিকতা হিন্দু মার্কিনী তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে মোদীর আলোচনাতেও এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। তুলসী ইতিপূর্বে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় মুখ খুলেছেন।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প-মোদীর বৈঠকের কিছুক্ষণ আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসকে ফোন করেন ট্রাম্পের বন্ধু ইলন মাস্ক। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে সরকারি জানায়নি বাংলাদেশ প্রশাসন। তবে মনে করা একটি ব্যবসায়িক ডিল নিয়ে কথা হয়।
ক'দিন আগে মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের পুত্র ঢাকায় ঝটিকা সফরে গিয়ে দেখা করেছিলেন ইউনুসের সঙ্গে। সোরসের সংস্থা বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র বিকাশের নামে অর্থ সহায়তা দিয়ে অস্থিরতা তৈরি করে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পিছনে সোরসের সংস্থার হাত ছিল বলে জোরালো প্রচার আছে। ট্রাম্প-মোদী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের বিষয়টি দেখার ভার বন্ধু মোদীর উপর ছেড়ে দেন।