শেষ আপডেট: 5th March 2025 08:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন কংগ্রেসের (US congress) যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভারতীয় সময় (Indian time) বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় বলা শুরু করেছেন তিনি।
এই ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US president) সাধারণত বিগত এক বছরের কাজের জন্য জবাবদিহি করেন। তারপর বিরোধী দল তাদের কথা জানায়। ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নিয়েছেন। বিগত দেড় মাসের কাজই হবে তাঁর ভাষণের অংশ।
মার্কিন রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের বিগত দেড় মাস ছিল গোটা বিশ্বের কাজে আশা-হতাশার কাহিনি। নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সক্ষম ভারতের মতো আমেরিকা প্রথম ডাক দিয়ে অনন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গড়ার সংকল্প ঘোষণা করে দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ট্রাম্প।
দায়িত্ব নিয়েই নিজের ঘোষণা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছেন। চিন (Chaina), মেক্সিকো (Mexico) এবং কানাডার (Canada) উপর চড়া হারে বাণিজ্য শুল্ক (trade tariff) আরোপ করেছেন। অন্যদিকে, দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন সরকারি দফতরে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে। মার্কিন সরকারের খরচের বোঝা কমাতে ইউএসএআইডি(USAID)-সহ একাধিক মার্কিন দাতা সংস্থার বরাদ্দ বিপুল পরিমাণে ছেঁটে দিয়েছেন। তাকে বিপাকে পড়েছে ভারত, বাংলাদেশের (Bangladesh) মতো বহু দেশ। বাংলাদেশের মতো ছোট অর্থনীতির দেশগুলিতে ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষের চাকরি গিয়েছে। বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য দেশেই বাধার মুখে পড়েছেন। মার্কিন প্রদেশ স্তরের একাধিক আদালত প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (Ukraine president) ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যেভাবে হোয়াইট হাউস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তাতেও বিস্মিত গোটা বিশ্ব। মার্কিন ইতিহাসেই শুধু নয়, গোটা বিশ্বেই রাষ্ট্রীয় অতিথির প্রতি এমন আচরণ অভাবনীয়। ইউক্রেনকে মার্কিন অস্ত্র সহায়তা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। বিপরীত পথে হেটে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চলেছেন।
এদিকে, যুদ্ধরত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দেশ বাঁচাতে ট্রাম্পের অপমান হজম করে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, হোয়াইট হাউসের ঘটনার জন্য অনুতপ্ত। আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।
ট্রাম্পকে নিয়ে বাকি বিশ্বের চিন্তা বাণিজ্য নীতি নিয়ে। চিন, কানাডা, মেক্সিকোর পর তিনি নতুন কোন দেশের উপর একপেশে বাণিজ্য নীতি চাপিয়ে দেন তা কেউ জানে না। সেই কারণে চিন্তিত ভারতও। আসলে সব দেশের পক্ষে চিনের মতো পাল্টা মার্কিন পণ্যে বাড়তি শুল্ক চাপানো সম্ভব নয়। ট্রাম্পের দিক থেকে বিপদ আসতে পারে বুঝে ভারত আগেই গুচ্ছ মার্কিন পণ্যের উপর রপ্তানি শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে।