শেষ আপডেট: 7th January 2025 21:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনেকেই বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবসাটা ভাল বোঝেন। হয়তো সঠিকই বলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পড়শি কানাডায় এখন চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর পর কানাডার বর্তমান শাসক দলের নেতা কে হবেন তা নিয়ে দোলাচল শুরু হয়েছে। এই মওকাতেই যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে কানাডার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, কানাডার অনেক নাগরিক চান, তাঁদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাক।
আমেরিকার সঙ্গে মিশে গেলে কানাডা অনেক সুবিধা পাবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা মিশে গেলে, দেশটির ওপর কোন বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করা হবে না এবং করের পরিমাণও কমে যাবে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, এবং এই ঘাটতি মেটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া, কানাডাকে টিকিয়ে রাখতে যে ভর্তুকি প্রয়োজন, তাও যুক্তরাষ্ট্র আর বহন করতে পারবে না, এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা মিশে গেলে শুল্ক কমিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে কানাডা রাশিয়া ও চিনের ক্রমাগত হুমকির থেকে রক্ষা পাবে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার নিরাপত্তা সম্পর্ক শক্তিশালী হবে।
এদিকে, কানাডায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় বড় ধস নেমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ট্রুডো তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন, তিনি লিবারেল পার্টির প্রধানের পদও ছাড়ছেন। তাঁর সিদ্ধান্তের পর দলটি নতুন নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। ট্রাম্পের মন্তব্যের পর কানাডায় নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে, এবং কানাডার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।