শেষ আপডেট: 17th October 2024 09:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত ও কানাডার মধ্যে চরম কূটনৈতিক বিবাদের মাঝে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা শোনা গেল জাস্টিন ট্রুডোর গলায়। কানাডার ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স কমিশনের কাছে হাজির হয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন তাঁর দেশে খলিস্তানি সমর্থক হরদীপ সিং নিজ্জরকে ভারতীয় এজেন্ট খুন করেছে বলে কোনও খবর তথ্য প্রমাণ নেই। তবে জোড়ালো গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
ট্যুডোর এই মন্তব্যের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কড়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, আমরা প্রথম থেকেই তথ্য প্রমাণ দাবি করে আসছিলাম। ট্রুডোর প্রশাসন বারে বারে সেই প্রস্তাব এড়িয়ে গিয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানার যে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা আটকে দেওয়া গিয়েছে। আরও দাবি করেছেন, তিনি গোয়েন্দা তথ্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ভারত-কানাডার চলমান বিতর্কের শুরু গত বছর সেপ্টেম্বরে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন শেষ করে দেশে ফিরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী দেশের সংসদে জানান, খলিস্তানের সমর্থক হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুন করেছে ভারতীয় এজেন্ট। সেই হত্যাকাণ্ডকে কানাডার সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত বলেও বর্ণনা করেন তিনি।
নিজ্জর খুন হন গত বছর জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে। তিনি কানাডার বাসিন্দা হলেও ভারতে একাধিক অপরাধে যুক্ত ছিল। ভারত অনেকবার কানাডাকে বলেছে নিজ্জরকে ফেরত পাঠাতে।
কানাডা এখন দাবি করছে ওই হত্যাকাণ্ডে হাত ছিল ওটায়া অর্থাৎ কানাডার রাজধানীতে অবস্থিত ভারতের হাই কমিশন অফিসের। সেই তথ্যও গোয়েন্দা রিপোর্টে রয়েছে। এই অভিযোগের পর ভারতীয় হাই কমিশনার সহ বেশ কয়েকজনকে নয়া দিল্লি দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে।
ট্রুডো বুধবার আরও বলেছেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিজ্জর হত্যার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ভারতও সমানতালে তদন্ত করে দেখুক তাদের এজেন্সিগুলি কোনও এজেন্ট নিয়োগ করেছিল কিনা। তাঁর অভিযোগ, সেই প্রস্তাবে সায় না দিয়ে ভারত একতরফা নথিপত্র দাবি করতে থাকে। আর তাতেই বোঝাপড়া ভেস্তে যায়।