ওয়াশিংটন বিমান সংঘর্ষ।
শেষ আপডেট: 31st January 2025 09:20
এর পরেই মাঝআকাশে যাত্রীবাহী বিমান ও সেনার একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ। কানসাস থেকে ওয়াশিংটনে সফর করার একেবারে শেষ পর্যায়ে অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিমানটি। বিমানে ছিলেন ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য। কপ্টারে ছিলেন তিন মার্কিন সেনা। বেঁচে নেই কেউ।
ঘটনার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মৃতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কার্যপ্রণালী নিয়ে কড়া সমালোচনাও করেন।
ট্রাম্প লেখেন, 'বিমানটি স্বাভাবিকভাবে ও নিয়ম মেনেই অবতরণের পথে ছিল। কিন্তু হেলিকপ্টারটি দীর্ঘক্ষণ সরাসরি বিমানের দিকে আসছিল। রাতের আকাশ ছিল পরিষ্কার, বিমানের আলো সম্পূর্ণ জ্বালানো ছিল। তাহলে হেলিকপ্টারটি উপরে উঠল না বা নীচে নামল না কেন? নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কেন শুধু জানতে চাইল, হেলিকপ্টারটি বিমানটিকে দেখছে কিনা, কেন তাদের সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হল না? এটা এমন একটা দুর্ঘটনা, যা এড়ানো সম্ভব ছিল! খুবই খারাপ ব্যাপার!'
দুর্ঘটনার পরপরই ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে। বিমানবন্দরও বন্ধ রেখেছে বৃহস্পতিবার। আমেরিকান এয়ারলাইনসের সিইও এক ভিডিও বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, এত উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি আধুনিক যাত্রীবাহী বিমানে কীভাবে ঘটল এই ঘটনা। মার্কিন সেনার হেলিকপ্টারটিই বা কেন মানল না এটিসি-র নির্দেশ। এমনিতে ওয়াশিংটনের আকাশসীমা সবসময়ই বেশ ব্যস্ত থাকে। ক্রমাগত বিমান চলাচল করে এবং সামরিক ও সরকারি হেলিকপ্টারও দিনরাত বিভিন্ন উচ্চতায় উড়ে বেড়ায়। ফলে, এই জটিল আকাশসীমায় কীভাবে এত বড় ভুল হল, সেটিই এখন তদন্তের মূল ফোকাস হয়ে উঠেছে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মার্কিন বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের দাবি উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।