শেষ আপডেট: 8th October 2024 12:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিজবুল্লার গোয়েন্দা সংস্থার মূল ঘাঁটিতে কদিন আগেই হামলা করেছিল ইজরায়েল। তারপরই দাবি করা হয়েছিল নাসরাল্লার মৃত্যুর পর যার হিজবুল্লার প্রধান হওয়ার কথা সেই হাশেম সাফেদ্দিন মৃত। যদিও সেই খবরে শিলমোহর এখনও পড়েনি। তবে এবার আইডিএফ-এর দাবি, হিজবুল্লার হেডকোয়ার্টারের কম্যান্ডোরকে খতম করেছে তাঁরা। সোমবারই বেইরুটে এয়ারস্ট্রাইক করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি।
লেবাননে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু করার পর হিজবুল্লাও পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনার ওপর। সোমবার ইজরায়েলের হাইফা এলাকায় প্রায় ১৩৫টি 'ফাদি-১' মিসাইলও ছোড়ে হিজবুল্লা। তারপর কার্যত আরও তেড়েফুঁড়ে ওঠে আইডিএফ। বেশি সময় নষ্ট না করেই তাঁরা ফের হামলা করে বেইরুটে। এরপরই দাবি করা হয়েছে, হিজবুল্লার হেডকোয়ার্টারের কম্যান্ডোর সুহেল হুসেন হুসেইনির মৃত্যু হয়েছে। হিজবুল্লার তরফে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে লেবাননে টানা এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। হিজবুল্লার প্রায় সব শীর্ষ নেতাকে তাঁরা খতম করেছে বলেই দাবি। এরই মধ্যে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইরান এবং ইয়েমেন! হিজবুল্লাও নতুন করে হামলা করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশে। তার পাল্টা হিসেবে ৬০ মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহদের ১২০টি ঘাঁটিতে মিসাইল অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী।
হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে মারার পর মনে করা হয়েছিল আইডিএফ কিছুটা শান্ত হবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। বরং হামলার ঝাঁজ আরও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আক্রমণ বন্ধ রাখার প্রস্তাব এসেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ফোন করে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কারও কথারই গুরুত্ব দেননি ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পরিস্থিতি তাই আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে।