শেষ আপডেট: 8th November 2024 18:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শতাধিক শিশু ও যুবককে লাগাতার নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ চার্চ অফ ইংল্যান্ডে। সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে।
যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেখানকারই আবাসিক ছাত্রদের বেধড়ক পেটাতেন কেমব্রিজের ব্যারিস্টার জন স্মিথ কিইউসি। শুধুমাত্র চার্চের সঙ্গে জড়িত থাকায় এত বছর সবকিছু জেনেও কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ।
ক্রিস্টান ধর্মের মানুষদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসাবে পরিচিত। কিন্তু সেই চার্চের ভিতরে যে ‘অজানা ইতিহাস’ লুকিয়ে ছিল তা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কিইউসিকে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করানোটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ। রিপোর্টে ১৯৭০ বা ১৯৮০ সালের ভয়াবহ ইতিহাসের কথা উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, উইনচেস্টারে নিজের বাড়িতে ছেলেদের নিয়ে গিয়ে চাবুক দিয়ে তিনি বেধড়ক মারধর করতেন। ডরসেটের একটি গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে গিয়েছিলেন কেমব্রিজের ব্যারিস্টার। সেখানেই আলাপ হয় ছেলেদের সঙ্গে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়।
বিষয়টি সামনে আসতেই চার্চ কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং সাফ জানিয়ে দেয় এর দায় তাদেরই। তবে পুরো বিষয়টি যে তাদের ইশারাতেই হয়েছে এমনটাও নয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংবাদমাধ্যমে এই কুকীর্তির বিষয়টি সামনে এসেছিল।
রিপোর্ট অনুসারে, স্মিথ আটজনকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান এবং সেখানে ছ’জনকে জনকে ১৪ হাজার বার এবং বাকি দুজনকে আট হাজার বার বেত মেরেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব চললেও তা পুলিশকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও ২০১৮ সালেই কেপ টাউনে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত ব্যারিস্টারের। ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সূত্রের খবর জিম্বাবোয়েতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন যাতে তাঁকে বিচারব্যবস্থার সামনাসামনি হতে না হয়।