২৪৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করেছে শি জিনপিংয়ের কমিউনিস্ট সরকার।
শেষ আপডেট: 6th March 2025 14:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমেরিকার সঙ্গে যে কোনও ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, বলার পরদিনই প্রতিরক্ষা বাজেট ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি করল চিন। যা ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটে প্রায় তিনগুণ। মোট ২৪৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করেছে শি জিনপিংয়ের কমিউনিস্ট সরকার। শুধু তাই নয়, আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মি বা লালফৌজকে পৃথিবী সেরা করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে বেজিং কর্তৃপক্ষ। চিনের প্রতিরক্ষা বাজেটে স্থল, বায়ু, নৌ, পরমাণু, মহাকাশ ও সাইবার- প্রতিটি ক্ষেত্রকেই উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, চিনের আগের দিনের শুল্কনীতি ঘোষণা ও যুদ্ধের হুঁশিয়ারির জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেঠও পাল্টা বলেন, চিনের সঙ্গে যুদ্ধে আমেরিকাও তৈরি আছে। চিনের বক্তব্যের জবাবে তিনিও বলেন, আমরাও তৈরি। আমেরিকা শান্তির জন্য বহু দূর যেতে পারলেও যুদ্ধতেও পিছপা নয়। আত্মরক্ষার জন্য সামরিক শক্তি জোরদার করার বিষয়ে তিনি বলেন, একারণেই আমরা আমাদের সামরিক শক্তিকে পুনর্গঠন করছি। প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করেন, শান্তি বজায় থাকে শক্তির মাধ্যমেই।
হেগসেঠ চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে বলেন, ওরা ওদের দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রুত বাড়িয়ে চলেছে। প্রতিরক্ষা বাবদ খরচ বাড়িয়ে চলেছে, উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। ওরা চাইছে আমেরিকার ক্ষমতাকে অতিক্রম করে যাওয়া। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। একথা বলেও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, যেখানে সম্ভব আমরা ততদূর সহযোগিতা করব। ট্রাম্পও চান শান্তি ও শান্তি বজায় রাখার পরিস্থিতির সুযোগ তৈরি।
চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হল, ওদের ঘোষিত আর বাস্তব ব্যয়বরাদ্দের আকাশপাতাল ফারাক থাকে। অন্তত ৪০-৫০ শতাংশ পার্থক্য থাকে। তাহলেও চিনের সরকারিভাবে ঘোষিত প্রতিরক্ষা বাজেট ভারতের (৭৯ বিলিয়ন ডলার) তুলনায় অন্তত তিন গুণ। এবং আমেরিকার পর (৯০০ বিলিয়ন ডলার) দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।