শেষ আপডেট: 4th February 2025 13:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চোখের বদলায় চোখ! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবৃদ্ধির বদলায় চিনও পাল্টা আমেরিকা থেকে কয়লা ও গ্যাস আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে দিল। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গেল বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির বাণিজ্য-যুদ্ধ। একইসঙ্গে মঙ্গলবার গুগলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের তদন্ত শুরু নির্দেশ দিয়েছে কমিউনিস্ট চিন। এদিন বেজিং কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, আমেরিকা থেকে আমদানি করা কয়লা ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সামগ্রীতে ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের গাড়িতে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হচ্ছে। আগামী সোমবার থেকেই এই শুল্কনীতি চালু হবে।
চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকার একতরফা শুল্কবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মবিধি ভঙ্গ করেছে। এতে তাদের নিজস্ব সমস্যা বিশেষ কিছু মিটবে না। উপরন্তু চিন-মার্কিন স্বাভাবিক যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বজায় ছিল তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর সঙ্গে চিনের বাজার নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও এদিন জানিয়েছে, মার্কিন সংস্থা গুগলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু হবে। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপানো নয়া শুল্কনীতি চালুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই শি জিনপিংয়ের দেশ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়।
শুল্কবৃদ্ধি ছাড়াও চিন বেশ কিছু রফতানি সামগ্রীর উপরেও নিয়ন্ত্রণরেখা টেনেছে। যেগুলি আমেরিকার হাইটেক সামগ্রী উৎপাদনে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- টাংস্টেন, টেলুরিয়াম, বিসমুথ, মলিবডেনাম এবং ইন্ডিয়াম। এগুলির অধিকাংশই আমেরিকার হাইটেক উৎপাদন শিল্পে অপরিহার্য খনিজ, যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেদেশের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রযুক্তি।
ট্রাম্পের বদলায় চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক সেদেশে ব্যবসা করা দুটি আমেরিকান কোম্পানিকে অনাস্থাভাজন তালিকায় ফেলেছে। তাদের একটি হল পিভিএইচ গ্রুপ যারা কেলভিন ক্লেইন এবং টমি হিলফিগার প্রোডাক্টের মালিক। এবং অন্যটি হল ইল্যুমিনা, যারা একটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি। এদের অফিস রয়েছে চিনে। এই তালিকাভুক্ত করায় এখন থেকে এই কোম্পানি দুটি চিনে আমদানি-রফতানি করতে পারবে না এবং অতিরিক্ত বিনিয়োগের সুযোগ পাবে না।