শেষ আপডেট: 7th March 2025 16:29
ভারতের তরফে এখনও এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, 'ভারত ও চিন একসঙ্গে 'আরও স্থিতিশীল ও ইতিবাচক সম্পর্কের দিকে এগোতে চাইছে।'
ওয়াং ই আরও বলেন, 'আমরা কখনও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সীমান্ত সমস্যার নিরিখে দেখব না, বা একটি ইস্যু দিয়ে গোটা সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করব না।' কূটনৈতিক মহল মনে করছে, ওয়াং ই-র এই বক্তব্যকে ২০২৩ সালে লাদাখের ডেপসাং ও ডেমচোক এলাকায় ভারত ও চিনের সেনা প্রত্যাহারের দিকে ইতিবাচক অগ্রগতি বলেও মনে করা যেতে পারে।
আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই বক্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এসেছে, যখন আমেরিকা চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ২০% করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের ওপর ট্যারিফ দ্বিগুণ করেছেন, কারণ তারা ফেন্টানিল নামে এক মারাত্মক মাদক রফতানি বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, 'চিন যদি যুদ্ধ চায়, সে ব্যবসায়িক হোক বা অন্য কিছু, আমরা প্রস্তুত।' চিন পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, তারা এই ট্যারিফের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়বে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার কৃষিপণ্য, সয়াবিন, গম ও শুয়োরের মাংসের ওপর ১৫% পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে চিন।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু চিন নয়, ভারতকেও নিশানা করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম রফতানির উপর ২৫% শুল্ক বসানো হয়েছে। ট্রাম্প ভারতকে 'উচ্চ শুল্কযুক্ত দেশ' ও 'বাণিজ্যে বড় সুযোগসন্ধানী' বলেও কটাক্ষ করেছেন। ফলে ভারতের শেয়ার বাজারে ১০০০ পয়েন্টের ধসও নেমেছিল।
চিন ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য-যুদ্ধ চলতে থাকলেও, ওয়াং ই-র মন্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতকে পাশে নিয়েই আমেরিকার একচেটিয়া আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করতে চায় চিন। এখন দেখার বিষয়, ভারত এই বার্তাকে কীভাবে গ্রহণ করে।