শেষ আপডেট: 10th December 2024 15:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সম্প্রতি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির সেই ঐতিহাসিক কেমব্রিজ ইউনিয়ন সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ২০ বছর বয়সি ইন্দো-ব্রিটিশ ছাত্রী অনুষ্কা কালে (Anoushka Kale)। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বিতর্ক ক্লাবের মাথায় নির্বাচিত হয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তিনি।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুক্ত চিন্তার পক্ষে কথা বলে কথা বলে আসার জন্য বিখ্যাত কেমব্রিজ ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ডিবেট ক্লাব। ১৮১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিশ্বশিক্ষার মানচিত্রে গরিমাময় অবস্থান দখল করে রয়েছে ক্লাবটি।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির সিডনি সাসেক্স কলেজে ইংরেজি পড়ছেন অনুষ্কা কালে। সম্প্রতি ইউনিয়ন সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত সভাপতি নির্বাচনে ১২৬ ভোট পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৫ সালের ইস্টার টার্মের জন্য ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
নির্বাচনের আগে, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিশেষত ইন্ডিয়া সোসাইটির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন অনুষ্কা। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেও সেই প্রতিশ্রুতি মতোই ইউনিয়নে বৈচিত্র্য ও প্রসার বাড়াতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আরও বেশি সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করেছেন।
অনুষ্কা বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক বক্তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বিশ্ব-বিতর্কের আয়োজন করতে আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। আমি প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য কাজ করতে মুখিয়ে আছি। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ইউনিয়নের বৈচিত্র বাড়ানো এবং সামার গার্ডেন পার্টির জন্য প্রবেশমূল্যের ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
কেমব্রিজ ইউনিয়ন সোসাইটি অতীতে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট এবং রোনাল্ড রেগান, ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্গারেট থ্যাচার, বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, বিল গেটস এবং দালাই লামা।
এশিয়ার খুব কম সংখ্যক পড়ুয়াই এহেন হাইভোল্টেজ কেমব্রিজ ইউনিয়ন সোসাইটির সভাপতি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। অনুষ্কা কালে তাঁদের মধ্যেই একজন। কেমব্রিজ ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি ও পদস্থ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেনস, ঔপন্যাসিক রবার্ট হ্যারিস এবং কোবরা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রিটিশ-ভারতীয় লর্ড করণ বিলিমোরিয়া।
অনুষ্কা কালের নেতৃত্বে ইউনিয়নের এই নতুন অধ্যায় আরও বৈচিত্র্যময় এবং আন্তর্জাতিক চিন্তাভাবনার প্রসারে অবদান রাখবে বলেই আশা করছে বিতর্ক মহল।