ক্ষতিগ্রস্ত হলিউডের তারকারা
শেষ আপডেট: 9th January 2025 11:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কথায় আছে, ‘নগরে আগুন লাগলে দেবালয় কিন্তু এড়ায় না।‘ লস এঞ্জেলেসের বিধ্বংসী দাবানলের ঘটনায় এই প্রবাদবাক্যটিই যেন আরেকবার সত্যি হয়ে দেখা দিয়েছে। শহরের বিভিন্ন অংশে ইতিমধ্যে হাজারটিও বেশি বাড়ি আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। দাবানল নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দমকল বাহিনী। পরিস্থিতি এমনই যে এর জেরে দেখা দিয়েছে তীব্র জলসংকট। ব্যাপক মাত্রায় জল ব্যবহারের জন্য রাস্তার নর্দমাগুলিও জলশূন্য।
সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি দাবানলের কোপে পড়েছেন হলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একটা বড় অংশ। জেনিফার অ্যানিস্টন, ব্র্যাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস, মাইকেল কিটন, অ্যাডাম স্যান্ডলার—আগুনের আঁচে পড়া এমন অনেক সেলিব্রেটিদের বাড়ি রয়েছে সেখানে। তাঁদের অনেকেই ঘরহারা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন জেমস উডস। ‘নিক্সন, ‘ক্যাসিনো’-র মতো ছায়াছবির নায়ক বলেন, ‘একদিন আপনি যে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছিলেন, পরদিন-ই সেই সবকিছু উবে গেল।‘ চোখ মুছে অভিনেতা জানান, গৃহহারা হওয়ার পর কীভাবে তাঁদের ভাইজি নিজের পিগিব্যাঙ্ক ভেঙে অর্থ সাহায্যের জন্য কয়েন দিতে চেয়েছেন।
অভিনেতা বিলি ক্রিস্টাল ১৯৭৯ সাল থেকে যে-বাড়িতে ছিলেন, সে বাড়িও আগুনের কোপে পড়েছে। জনপ্রিয় ছবি ‘হ্যারি মেট স্যালি’-র নায়ক বলেন, ‘এখানেই আমরা আমাদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিদের বড় করে তুলেছি। বাড়ির প্রতিটি কোণ ছিল ভালোবাসায় মোড়া। সেই স্মৃতি যদিও কোনওদিন মুছে যাবে না।‘
অভিনেত্রী, মডেল প্যারিস হিলটনও দাবানলের জেরে গৃহহারা হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে প্যারিস লিখেছেন, ‘পরিবারের সঙ্গে বসে টিভির পর্দায় নিজেদের বাড়ি পুড়তে দেখার আঘাত যেন কাউকে সইতে না হয়। এই বাড়িতে আমরা মূল্যবান স্মৃতির ভাণ্ডার গড়ে তুলেছিলাম। আগুনের আঁচে বিধ্বস্ত সমস্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।‘
জনপ্রিয় ছায়াছবি ‘টপ গান:ম্যাভেরিক’-এ অভিনয় করেন মাইলস টেলার। দাবানলে ঘর হারিয়েছেন তিনিও। ইনস্টাগ্রামে নিজেদের পুড়তে থাকা বাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন মাইলস। ‘স্টার ওয়ার্স’-এর খ্যাতনামা অভিনেতা মার্ক হ্যামিল। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ঘর হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার পর মার্ক বলেন, ১৯৯৩ সালের পর এমন বিধ্বংসী দাবানল তিনি দেখেননি। সে বছর আগুনের কোপে প্রায় ১৮ হাজার একর জমি পুড়ে যায়, নষ্ট হয় ৩২৩টি বাড়ি।