শেষ আপডেট: 9th December 2024 19:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিরিয়ার ফেরারি শাসক বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি কত? রাশিয়ায় পালানোর আগে কত সোনাদানা, হিরে-জহরত, মালকড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছেন আসাদ? মনে করা যেতে পারে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের পালানোর দিনটির কথা। যেদিন তালিবান দখলের পর হেলিকপ্টারে করে কাবুল ছেড়ে পাততাড়ি গুটিয়েছিলেন আশরাফ ঘানি। ঘানি নিজে চপারে ওঠার আগে তাতে ট্রাঙ্ক ট্রাঙ্ক অর্থ ঢুকিয়েছিলেন। শেষে চপার এতো ভারী হয়ে যায় যে, তার কিছু ফেলেই পালাতে হয়েছিল তাঁকে।
শোনা যাচ্ছে, বাশার আল-আসাদও সপরিবারে পালানোর আগে কোটি কোটি ডলার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। প্রায় পাঁচ দশকের পারিবারিক রাজত্বে বাশারের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। তিনি সিরিয়ার ক্ষমতা লাভ করেন তাঁর বাবা হাফেজ আল-আসাদের কাছ থেকে। আসাদরা সিরিয়া শাসন করেছেন প্রায় অর্ধ শতাব্দী জুড়ে। এখন তাই প্রশ্ন উঠেছে বাশার আল-আসাদ কত সম্পত্তির মালিক?
বলার প্রয়োজন নেই যে, সিরিয়ার একমাত্র ক্ষমতার শীর্ষে থাকা পরিবার দেশের অর্থনৈতিক পাশার ঈশ্বর। দেশের বৃহত্তম পুঁজিপতি ও অপরাধ সিন্ডিকেটের গডফাদার আসাদ। সৌদি সংবাদপত্র ইলাভ-এর খবর অনুযায়ী, আসাদ পরিবারের সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে ২০০ টন সোনা, ১৬ বিলিয়ন ডলার এবং ৫ বিলিয়ন ইউরো। এই হিসাব মিলেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স সেকশন ৬-এর (MI6) সূত্রে।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আসাদের ধনসম্পত্তির পরিমাণ সিরিয়ার ৭ বছরের বাজেটের সমান। যদিও হিসাবটি ২০২৩ সালের। ২০২২ সালে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে বাশার আসাদ, তাঁর স্ত্রী আসমা আখরাস আসাদ, বাশারের ভাই মাহের, বোন বুশরা, খুড়তুতো ভাইবোন এবং কাকাদের সকলেই বিশাল সম্পত্তির মালিক। তবে এর মধ্যে বাশারের তিন সন্তান হাফেজ, জিয়ান ও করিমের সম্পদের হিসাব ছিল না, এরা তিনজনেই ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গিয়েছে।
এছাড়া আসাদ পরিবারের বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা, মাদক পাচার এবং জানমালের সুরক্ষা ও তোলাবাজির চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই অবৈধ কার্যকলাপ থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে আসাদরা।