শেষ আপডেট: 27th January 2025 07:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্ষমতায় এলে ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতি গ্রহণ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখতে বসার পরই সেই প্রক্রিয়া শুরু হল। এত দিন উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দেশকে আর্থিক সাহায্য দিত আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)। বাংলাদেশ-সহ একাধিক দেশে ক্ষেত্রে সেই অনুদান আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্পের প্রশাসন। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে আমেরিকা।
আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবি জানিয়েছেন, আগামী ৮৫ দিন বিদেশে সহায়তার বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হবে। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ততদিন মিশর এবং ইজরায়েল বাদে বাকি দেশগুলির আর্থিক অনুদান বন্ধ থাকবে। ভারতের অনুদানও পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।
আমেরিকার আর্থিক অনুদান বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে ইউনুস সরকারের চাপ আরও বাড়ল। কারণ, গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে অস্থির পরিবেশ বজায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের চাপ যে আরও বাড়ল তা বলাইবাহুল্য। বস্তুত, গত প্রায় ৫০ বছর ধরে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা-সহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে আমেরিকা।
যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টি তাঁদের কাছে প্রত্যাশিত ছিল। কারণ, ভোটের আগে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি সাহায্য পাঠানো বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।" তবে ট্রাম্পের প্রশা্সনের তরফে এখনও অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ, স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতকে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অনুদান দিয়ে থাকে আমেরিকা। আর্থিক অনুদান বন্ধ হলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।