শেষ আপডেট: 4th March 2025 08:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হুঁশিয়ারি এবার বাস্তবায়ন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ইউক্রেনকে (Ukraine) সামরিক সহায়তা (military aid) দেওয়া বনধ করে দিলেন। তবে হোয়াইট হাউস (White house)জানিয়েছে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক।
রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি করাতে চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসাবে এই সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয় আরও একটি কারণ আছে। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়। ‘অবাধ্য’ জেলেনস্কিকে (Zelensky) হোয়াইট হাউস থেকে ‘গেট আউট’ বলে বের করে দেন ট্রাম্প। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের জন্য আয়োজিত নৈশ ভোজেও তাঁকে আপ্যায়ন করা হয়নি। বাতিল করা হয় যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন এবং দুই দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত চুক্তি।
এই ঘটনার পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রক ইউক্রেনের উপর চাপ তৈরি করেছে জেলেনস্কিকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতেও চাপ দিচ্ছে আমেরিকা।
কিন্তু নতজানু হতে চাননি জেলেনস্কি। তাঁর বক্তব্য, গত সপ্তাহের ঘটনাকে পিছনে ফেলে তিনি সামনের দিকে অগ্রসর হতে রাজি আছেন। তবে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। তাঁর এই মনোভবে রুষ্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের আলোচনায় ট্রাম্প ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে প্রবল চাপ দেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতিতে সায় দিতে। জেলেনস্কি রাজি না হওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন ট্রাম্প। পাল্টা গলা চড়ান জেলেনস্কি।
ট্রাম্প মন্তব্য করেন, মার্কিন অস্ত্রে বলিয়ান হয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছে। এই ভাবে একটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জবাবে ট্রাম্পকে উত্তেজিত গলায় বলেন, আপনি আমাকে একজন খুনির সঙ্গে (পড়ুন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) হাত মেলাতে বলছেন। এই প্রস্তাব আপনি প্রত্যাহার করুন। জেলেনস্কির এই কথায় উত্তেজিত ট্রাম্প ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
জানা যাচ্ছে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ইউক্রেন বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে চলেছে। যে সব অস্ত্র ইউক্রেনে সরবরাহের জন্য মাঝপথে আছে সেগুলিও ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। বিপুল অস্ত্র ইউক্রেনকে দিতে পোলান্ডে জমা করেছিল আমেরিকা। সেখান থেকে সেগুলি ফিরিনে নেওয়া হবে। কূটনৈতিক ও সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে ইউক্রেনের।