শেষ আপডেট: 16th March 2024 16:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আন্টার্কটিকায় বিপদে পেঙ্গুইনদের সাম্রাজ্য।
চিলির পন্টিফিকাল ক্যাথোলিক ইউনিভার্সিটি বিজ্ঞানী ফ্যাবিওলা লিয়ন জানাচ্ছেন, পেঙ্গুইনদের বসতিতে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। শয়ে শয়ে আক্রান্ত। বরফের স্তূপের উপরে পেঙ্গুইনদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের গোড়া থেকেই রোগ ছড়াচ্ছিল। কিন্তু এখন তা মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
চিলিয়ান আন্টার্কটিক ইনস্টিটিউট একটি গবেষক দলকে বরফের দেশে পাঠিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সার্ভে করে দেখে জানিয়েছেন, অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে আন্টার্কটিকায়। এম্পেরর পেঙ্গুইনয়ের একটা বড় প্রজাতি আক্রান্ত এই ভাইরাসে। সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে। ভাইরাস আরও বেশি ছড়িয়ে পড়লে আস্ত একটা প্রজাতিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
বার্ড-ফ্লু (Bird Flu) ভাইরাস হল বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যা শুধু পাখি নয়, মানুষ ও অন্যান্য পশুর শরীরেও সংক্রামিত হতে পারে। এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জাকে বলে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। থুতু-লালা ড্রপলেটের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার অনেক রকম প্রজাতি আছে। ভারতে যে ধরনের বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়েছিল তার নাম--এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯। দেশের কয়েকটি রাজ্যে মৃত পাখিদের নমুনায় এইচ৫এন১ (H5N1)ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের স্ট্রেন খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। পাখিরা এই ভাইরাসের বাহক।
আন্টার্কটিকায় পেঙ্গুইনদের মধ্যে প্যাথোজেনিক এইচ৫এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়িয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাল স্ট্রেন প্রচণ্ড সংক্রামক। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পেঙ্গুইনদের কলোনিতে এই ভাইরাসই ছড়িয়ে পড়ছে মহামারীর মতো।
২০১৬-১৭ সালে এইচ৭এন৯ (H7N9)বার্ড ফ্লু ভাইরাস মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়েছিল। আক্রান্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ঢুকলে করোনাভাইরাসের মতোই দ্রুত বিভাজিত হতে পারে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেন। উপসর্গও করোনা সংক্রমণের মতোই। এর আগে ইজরায়েলে পরিযায়ী সারসদের শরীরে এই মারণ ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল। লাখ লাখ সারসের মৃত্যু হয়েছিল। পেঙ্গুইনদের কলোনিতে এমন কিছু ঘটতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।