শেষ আপডেট: 13th March 2025 11:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বালোচ বিদ্রোহীদের কবল থেকে প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন পণবন্দিরা। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়। তবে এই সংঘর্ষে অন্তত ২৮ জন পাক সেনার প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, বালুচ লিবারেশন আর্মি (BLA)-র দাবি, তারা অন্তত ৫০ জন সেনাকে হত্যা করেছে। যদিও পাক প্রশাসনের বক্তব্য, বিদ্রোহীদের সবাইকে নিকেশ করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দীর্ঘ ও উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পর জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে মোট ৩৪৬ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাক সেনার এক কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিদ্রোহীদের হাতে ২৭ জন সেনাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের সময় মৃত্যু হয় আরও একজন সেনার। তবে এই ২৮ জনের কেউই ট্রেনে কর্তব্যরত ছিলেন না। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৬ জন কর্মীকে আগেই হত্যা করেছিল বিদ্রোহীরা।
অন্যদিকে, বালুচ লিবারেশন আর্মির দাবি আরও ভয়াবহ। তাদের বক্তব্য, সেনা পণবন্দি উদ্ধারের চেষ্টা করলেই সবাইকে হত্যা করা হবে—এই হুমকির পর অন্তত ৫০ জন সেনাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। পাক প্রশাসন ড্রোন হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেই আশঙ্কা থেকেই এত বড় মাপের হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে দাবি BLA-র।
মঙ্গলবার বালোচিস্তানের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারের পথে যাত্রা করছিল জাফর এক্সপ্রেস। ট্রেনটিতে পাক সেনা, আইএসআই কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। সকাল ৯টায় ট্রেনটি কোয়েটা ছাড়ার পর দুপুর নাগাদ প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ সেটির দখল নেয় বালুচ বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, নইলে পণবন্দিদের হত্যা করা হবে। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই পাক সেনা অভিযান চালিয়ে ৩৩ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে এবং পণবন্দিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এই ভয়াবহ ঘটনা নতুন করে পাকিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বালুচিস্তানে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাত দীর্ঘদিনের, তবে এই হামলা সেই সংঘর্ষকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিল।