উপগ্রহ-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক তৈরি করে ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোই মূল লক্ষ্য 'গোল্ডেন ডোম'-এর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প
শেষ আপডেট: 21 May 2025 10:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমেরিকার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (USA Air Defence System) আরও মজবুত করতে বিরাট ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার খরচে তৈরি হবে 'গোল্ডেন ডোম' (Golden Dome)। ইতিমধ্যে এর জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাবও করা হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, এই প্রকল্প কী এবং তা কীভাবে কাজ করবে? প্রাথমিকভাবে এই সিস্টেম নিয়ে কিছু তথ্য সামনে এসেছে যা অবাক করার মতো।
এতদিন ধরে শুধু ইজরায়েলের 'আয়রন ডোম' নিয়ে চর্চা হত। যে কোনও জায়গা থেকে ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের পর ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। 'আকাশ'-এর ক্ষমতা দেখে বিশ্ব কার্যত অবাক। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, আমেরিকা এসব থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে এখন প্রতিরক্ষায় আরও জোর দিচ্ছে এবং 'গোল্ডেন ডোম' তৈরি করার চিন্তা করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশবাসীকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করতে কমপক্ষে ৩ বছর সময় লাগবে। আর এটি তৈরি হলে আমেরিকার দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস কেউ পাবে না। ট্রাম্প এও মনে করিয়ে দেন, ''আমি ক্ষমতায় আসার পরই বলেছিলাম উন্নতমানের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করব। আমার বলতে গর্ব হচ্ছে যে, সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।'' এখন জেনে নেওয়া যাক, এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আদতে কী।
গোল্ডেন ডোম মিসাইল শিল্ড সিস্টেম
উপগ্রহ-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক তৈরি করে ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোই মূল লক্ষ্য 'গোল্ডেন ডোম'-এর। ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে তাকে ট্র্যাক করার জন্য প্রচুর স্যাটেলাইট এই সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্য দেশ শুধু নয়, মহাকাশ থেকেও কোনও মিসাইল আমেরিকার দিকে ছোড়া হলে তা ডিটেক্ট করে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এটির।
এটি তৈরি করতে কত খরচ হতে পারে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প আপাতত জানিয়েছেন, এটি তৈরি জন্য ১৭৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে কংগ্রেস বাজেট অফিসের হিসেব অনুযায়ী, অন্তত ৫০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।
'গোল্ডেন ডোম' তৈরির নেপথ্যে কারা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আমেরিকার স্পেস ফোর্স জেনারেল মাইকেল গুয়েতিনের নেতৃত্বে এই ডিফেন্স সিস্টেম তৈরির কাজ হবে। ২০২১ সালে তিনি স্পেস ফোর্স জয়েন করেছিলেন। তার আগে ৩০ বছর ধরে মাইকেল ছিলেন মার্কিন এয়ার ফোর্সে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর চিন এবং রাশিয়া খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁদের মতে, আমেরিকা যা করছে তা খুব একটা সুখকর নয় বিশ্বের জন্য। আর এই সিস্টেমের ফলে মহাকাশও আগামী দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে।