শেষ আপডেট: 4th February 2025 13:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রযুক্তি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও ‘এজ-রিভার্সিং’ প্রচারক ব্রায়ান জনসন সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু তার অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর হয়নি। জেরোধা কো-ফাউন্ডার নিখিল কামাথের পডকাস্টে অংশ নিতে গিয়ে বায়ুদূষণের কারণে মাঝপথেই অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি। তার দাবি, ভারতে আসার তৃতীয় দিনেই চরম দূষণের কারণে তাঁর শ্বাসনালিতে জ্বালা, চোখে সমস্যা এবং ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। এতই সমস্যা হচ্ছিল, যে তিনি ঠিকমতো দেখতেও পাচ্ছিলেন না।
পডকাস্টের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জনসন জানান, ঘরের ভিতরে বাতাসের গুণমান সূচক (AQI) ছিল ১৩০। এটি টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে ৩.৪টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর! জনসনের অভিযোগ, এসি চলা সত্ত্বেও ঘরটি বাইরে থেকে বাতাস টেনে নিচ্ছিল, ফলে তিনি নিজে সঙ্গে করে যে এয়ার পিউরিফায়ার এনেছিলেন, সেটিও অকেজো হয়ে যায়।
ব্রায়ান জনসন বলেন, ভারতে বায়ুদূষণ এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে মানুষ এ নিয়ে আর চিন্তিতও নয়। যদিও বিজ্ঞানের মতে, দূষণের জন্য বহু ক্ষতি হচ্ছে শরীর-স্বাস্থ্যে, তবু মানুষ যেন এ বিষয়ে উদাসীন।
ব্রায়ান জনসনের সবচেয়ে বড় বিস্ময় ছিল, সাধারণ মানুষজন এমনকি শিশুদেরও মুখে কোনও মাস্ক না থাকা। তিনি বলেন, ‘মাস্ক ব্যবহার দূষণের প্রভাব কমানোর অন্যতম সহজ উপায়, কিন্তু কেউই সেটা পরছে না। এটা খুবই অবাক করার মতো ব্যাপার!’
দেখুন তাঁর পোস্ট।
When in India, I did end this podcast early due to the bad air quality. @nikhilkamathcio was a gracious host and we were having a great time. The problem was that the room we were in circulated outside air which made the air purifier I'd brought with me ineffective.
— Bryan Johnson /dd (@bryan_johnson) February 3, 2025
Inside,… https://t.co/xTkpW567Xv
ভারতের সরকার এই সংকটকে কেন জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমি জানি না, কী ধরনের স্বার্থ, অর্থ ও ক্ষমতা এই পরিস্থিতি নিয়ে এত উদাসীন, তবে এটি গোটা দেশের জন্যই ভয়ঙ্কর। ক্যানসারের চিকিৎসার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিক বায়ুদূষণে। তবেই ভারতের সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব হবে।’
ব্রায়ান জনসনের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ তাঁর বক্তব্য সমর্থন করে বলেছেন, দূষণ নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ও সরকারের পদক্ষেপ সত্যিই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, তিনি ভারতের পরিবেশ নিয়ে অতিরঞ্জিত মন্তব্য করেছেন।