এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছেন, তা ‘বিশ্বকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে’ বলেই দাবি করেছেন সানাউল্লাহ।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 3 July 2025 16:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'অপারেশন সিঁদুর'-এর (Operation Sindoor) সময়ে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile) ছোঁড়ার পর মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড হয়তো সময় পেয়েছিল পাকিস্তান (Pakistan)! তার মধ্যেই ভাবতে হত যে ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু আছে কিনা। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহকারী ও শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক রানা সানাউল্লাহ। তাঁর স্বীকারোক্তি, ব্রহ্মোস আক্রমণের পর সেইভাবে প্রতিক্রিয়া দেওয়ারও সময়-সুযোগ পাননি তাঁরা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''ভারতের ব্রহ্মোস হামলায় নূর খান বিমানঘাঁটি বিপর্যস্ত হয়, তখন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবল চাপ তৈরি হয়েছিল। আমাদের হাতে ছিল কয়েক সেকেন্ড — মিসাইলটি পারমাণবিক কিনা, তা বোঝার জন্য।'' তিনি স্বীকার করেন, ওই মুহূর্তে পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছিল যে, পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছেন, তা ‘বিশ্বকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে’ বলেই দাবি করেছেন সানাউল্লাহ। তাঁর কথায়, “এই ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন।”
তবে ভারতের তরফে ট্রাম্পের এই ভূমিকার কথা সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, পাকিস্তান নিজেই বারবার যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করেছিল। তৃতীয় কোনও পক্ষ দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করায়নি। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবর দাবি করেছেন যে, তিনিই যুদ্ধবিরতির মূল কাণ্ডারী।
আসল ঘটনাটি কী? গত ১০ মে রাতে ভারত বেশ কয়েকটি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ছুড়েছিল পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল রাওয়ালপিন্ডির চকলালা অঞ্চলের নূর খান এয়ারবেস। এই হামলায় রানওয়ে, বাঙ্কার ধ্বংস হয় বলে আন্তর্জাতিক মহলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
দীর্ঘদিন বিষয়টি অস্বীকার করে পাকিস্তান সেনা ও সরকার। কিন্তু দু’সপ্তাহ আগে পাক উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার সংসদে স্বীকার করেন, ভারতীয় হামলায় দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের ভিতরকার অস্থিরতা ও ভারতের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার বাস্তব রূপরেখা দুটোই স্পষ্ট করে দিচ্ছে। অপরদিকে, ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারি স্তরে কোনও প্রতিক্রিয়া না এলেও, বিষয়টি ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।