শেষ আপডেট: 24th August 2024 13:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর সবচেয়ে বিপন্নতার শিকার হয়েছেন সে দেশের নারীরা। সবচেয়ে আগে তাদের বাড়ির বাইরে বেরনো, পড়াশুনো ইত্যাদিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী পুরুষদের দাড়ি রাখা, দিনে পাঁচবার নমাজ পাঠ এবং রোজার মাসে উপবাস বাধ্যতামূলক করা হয়।
তবে এসবই ছিল শীর্ষ নেতৃত্ব কিংবা মৌলবিদের ফতোয়া। দু’দিন আগে তালিবান সরকার একটি আইন করে এই সব বিধি বা ফতোয়াকে তার অংশ করে দিয়ে সাজার বিধান ঘোষণা করেছে। বলা হয়েছে আফগান নাগরিকদের দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এই বিধি মেনে চলতে হবে।
কঠোর বিধি নিয়ে সে দেশের মানুষ ২০২২ সাল থেকেই জেরবার। তবে এতদিন তা দেশের আইনের অংশ ছিল না। এবার জীবনচর্যায় কোনও ধরনের বিচ্যুতি আদালতে বিচারের অংশ হবে।
তালিবান প্রশাসনের এই নির্দেশ ঘিরে ভিন্ন মত আছে দেশের মধ্যে। কারও কারও মতে, এখন আদালতের বিচারাধীন হওয়ায় অভিযুক্ত নিজের কথা বলার সুযোগ পাবেন। এতদিন গোষ্ঠীপতির কথাই শেষ কথা ছিল। আর এক দল মনে করে আধিকারিকেরা এখন সরকারকে খুশি করতে আরও কঠোরভাবে বিধিগুলি বলবৎ করবে।
আফগানিস্তানে তালিবানরা ২০২২-এ ফেরত আসার পর ধর্মমন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতার দিকে নজরদারীর জন্যও একটি মন্ত্রক চালু করে। সেই মন্ত্রকের পরামর্শে আইন মন্ত্রক নতুন আইন চালু করেছে।