এর আগে ভারত সফরে এসেছেন নুকাগা। তবে বাংলায় কখনও আসেননি। তাই এবার তাঁকে রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফুকুশিরো নুকাগার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 23 May 2025 20:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপের বিবরণ দিতে বিদেশ সফর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। তার একটিতে রয়েছেন বাংলার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। সেই দলই সম্প্রতি জাপানে গেছিল। সূত্রের খবর, অভিষেক জাপানের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার (Japan’s House of Representatives Speaker) ফুকুশিরো নুকাগাকে (Fukushiro Nukaga) পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এর আগে ভারত সফরে এসেছেন নুকাগা। তবে বাংলায় কখনও আসেননি। তাই এবার তাঁকে রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান, নুকাগা তাঁর পরবর্তী ভারত সফরে পশ্চিমবঙ্গকেও নিজের তালিকায় রাখুন।
জাপান সফরে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের বাকিরা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া সন্ত্রাস দমনে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দেন। পাশাপাশি, সন্ত্রাসের মোকাবিলায় ভারত যে সংযম ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এরপরই জানা গেল, জাপানের স্পিকারকে ভারত তথা বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অভিষেক।
ফুকুশিরো নুকাগা একজন জাপানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য, এবং ১৯৮৩ সাল থেকে প্রতিনিধি পরিষদে রয়েছেন। সূত্রের খবর, ভারতের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে তিনিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, সর্বদলীয় দোল দেশের ফেরার পর যেন সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। মমতার বক্তব্য, ''ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে গোটা বিশ্ব ঘুরে ঘুরে এই প্রতিনিধি দল জানাচ্ছে। এই উদ্যোগে আমি খুশি। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় খবরাখবর সবার আগে দেশবাসীর জানা উচিত। তাই চাইছি, সর্বদলের প্রতিনিধিরা বিদেশ ভ্রমণ সেরে ফিরে আসার পর সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক।'' বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এও মনে করিয়ে দেন, দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে তা সমর্থন করবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।