ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক।
শেষ আপডেট: 6th November 2024 15:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দোরগোড়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটগণনা যত এগোচ্ছে, ততই চড়ছে রিপাবলিকান সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের পারদ। জয় ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা। এমনই সময়ে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে তাঁর বিজয় ভাষণ দিলেন তিনি। তাতেই ইলন মাস্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বললেন, 'একটি তারকার জন্ম হয়েছে!'
এদিন ট্রাম্প আরও বলেন, 'মাস্ক একজন আশ্চর্য মানুষ। আমরা ফিলাডেলফিয়া এবং পেনসিলভেনিয়ার বিভিন্ন অংশে দু'সপ্তাহ প্রচারে কাটিয়েছি।' তিনি স্মৃতিচারণা করে আরও জানান, একবার নাকি স্পেসএক্স রকেটের একটি ভিডিও দেখার সময়ে তিনি মাস্ককে ৪০ মিনিটের জন্য আটকে রেখেছিলেন!
এদিন নিজের জয়ের আনন্দ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, 'দেশের সমস্ত রোগ সারানো শুরু করব এবার। এটিই হবে আমেরিকার স্বর্ণযুগ। এই জয় আমেরিকান জনগণের জয়, যা আবারও একবার আমেরিকাকে মহান রাষ্ট্রে পরিণত করার সুযোগ করে দেবে আমাদের।
একসময়ে ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থক ছিলেন ইলন মাস্ক। তবে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই রিপাবলিকানদের হয়ে প্রচার করতে ময়দানে নেমেছেন তিনি। গত কয়েক মাসে ট্রাম্পের প্রচারের পিছনে কার্যত জলের মতো টাকাও ঢেলেছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক। এসবের পরে শেষমেশ আজ, বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হয়েছে।
ট্রাম্প যখন মাস্ককে 'তারকা' বলে উল্লেখ করে বিজয় ভাষণে বিপুল হাততালি কুড়োচ্ছেন, তখন অন্যদিকে ট্রাম্পের জয় নিয়ে একটা 'মিম'ও পোস্ট করেছেন ইলন মাস্ক। দেখা গেছে, একটি বেসিন হাতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দাঁড়িয়ে আছেন মাস্ক। এই ছবি দেখে অনেকেরই মনে পড়ে গেছে, ইলন মাস্ক যখন টুইটার কিনেছিলেন, তখন এভাবেই বেসিন হাতে টুইটারের অফিসে ঘুরছিলেন ট্রাম্প।
Let that sink in pic.twitter.com/XvYFtDrhRm
— Elon Musk (@elonmusk) November 6, 2024
সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য আরও পোস্ট করা হয়েছে মাস্ক ও ট্রাম্প দু'জনের তরফেই। মাস্ক এক্স-এ পোস্ট করে লেখেন, 'আমেরিকা হল গঠনমূলক দেশ। আমরা খুব তাড়াতাড়ি আবারও স্বাধীন ভাবে গঠনমূলক কাজ শুরু করতে পারব।'
America is a nation of builders
— Elon Musk (@elonmusk) November 6, 2024
Soon, you will be free to build
তবে ট্রাম্প-মাস্কের এই এত পারস্পরিক প্রশংসার মাঝেও অনেকেরই মনে পড়ে গেছে, গত মার্কিন নির্বাচনের পরে তৎকালীন টুইটার থেকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেন এবং তার নাম ও লোগো সব বদলে দেন। তার পরেই ট্রাম্পের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেন মাস্ক।