শেষ আপডেট: 4th May 2024 13:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা তাদের বলে দাবি করার পাশাপাশি সেই সব এলাকার নামও বদলে দিয়েছে চিন। বদলে নিয়েছে মানচিত্র। সেই একই পথে এবার হাঁটল আর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডের সভাপতিত্বে শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বৈঠকে স্থির হয়, দেশে নতুন একশো টাকার নোট চালু করা হবে। এখন চালু থাকা নোটগুলি ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে। বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, নতুন একশো টাকার নোটে দেশের নতুন মানচিত্র ছাপা হবে। দেশবাসীকে মানচিত্র সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত।
নেপালের ওই নয়া মানচিত্র নিয়ে আগে থেকেই ভারতের সঙ্গে বিবাদ চলছে। ২০২০-তে চালু হওয়া নতুন মানচিত্রে লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানি এলাকাকে নেপাল তাদের দেশের অংশ বলে দেখিয়েছে। ভারত সরকার তখনই এই বিষয়ে আপত্তি তোলে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, এটা অস্থিরতা তৈরির লক্ষে কৃত্রিম উপায়ে সীমানা বিস্তারের চেষ্টা। উল্লেখিত তিনটি জায়গাই উত্তরাখণ্ডের অংশ। এরমধ্যে লিপুলেখ পাসকে চিনও তাদের অংশ বলে দাবি করে।
নেপালের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রেখা শর্মা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বলেন, গত মাসের ১৮ তারিখ মন্ত্রিসভায় নতুন মানচিত্র নিয়ে কথা হয়েছিল। শুক্রবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, নতুন মানচিত্র একশো টাকার নোটের উপর ছাপা হবে। সেই মতোই টাকার ডিজাইন করা হবে। প্রসঙ্গত, নেপালের টাকা বা কারেন্সি নোটের বড় অংশ ছাপা হয় কলকাতার আলিপুর টাঁকশালে। একশো টাকার নোটও সেখানেই ছাপানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক নেপাল সরকারের শুক্রবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে জল অনেক দূর গড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই নেপালের উপর চিনের প্রভাব রয়েছে। গত আড়াই তিন দশকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া অনেকেই প্রকাশ্যেই চিনপন্থী এবং ভারত বিরোধী বলে পরিচিত ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড সম্পর্কে অবশ্য কূটনৈতিক মহল তা মনে করে না। তাঁর সময় ভারত-নেপাল সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই আশাবাদী কূটনৈতিক কর্তারা। দু-পক্ষেই মানে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়ে তৈরি মানচিত্র নিয়ে অনেক বিবাদ আছে। যেমন একই নদীর দুটি উৎসমুখ আছে। একটি নেপালের ভূখণ্ডের অংশ, আর একটি ভারতের। এই ধরনের নদীর অধিকার নিয়ে দু-দেশের মধ্যে সমস্যা আছে।