শেষ আপডেট: 7th January 2025 11:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৩। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন এখনও বহু মানুষ। হিমালয়ের উত্তর পাদদেশ এলাকার নেপাল-তিব্বতের সীমান্ত এলাকায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। তীব্র ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে তিব্বত, নেপাল, ভুটান, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এমনকী দক্ষিণ ভারতেরও কোনও কোনও এলাকায়। এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তরভাগের গেটওয়ে বলে খ্যাত টিংরি নামে একটি গ্রামীণ তালুকে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। চিনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাটি থেকে ১০ কিমি নীচে ভূমিকম্পের উৎস ছিল।
এদিন সকাল ৬টা ৩৫ নাগাদ প্রথম কম্পনটি হয়। তার কিছুক্ষণ পরই কেঁপে ওঠে চিনের শিজাং। পরপর ৫ বার আফটারশক অনুভূত হয়। দ্বিতীয় কম্পনটি হয় সকাল ৭টা ২ নাগাদ। কম্পন মাত্রা ছিল ৪.৭। ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আবার তৃতীয় কম্পন হয় সকাল ৭টা ৭-এ। তীব্রতা ছিল ৪.৯। প্রথম দু'টি ভূমিকম্প হয়েছে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে। ছ'মিনিট পরে আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৫।
ঠিক কী কারণে ভূমিকম্প হয়?
অনেক আগে পৃথিবীর সব স্থলভাগ একসঙ্গে ছিল। পৃথিবীর উপরিভাগ অনেকগুলো অনমনীয় প্লেটের সমন্বয়ে তৈরি। পরে তা ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে গিয়েছে। এই প্লেটগুলোকেই বিজ্ঞানীরা বলেন টেকটোনিক প্লেট। টেকটোনিক প্লেটগুলো একে অন্যের সঙ্গে পাশাপাশি লেগে থাকে। কোনও কারণে এগুলোর নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেই তৈরি হয় শক্তি। এই শক্তি সিসমিক তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। যদি তরঙ্গ শক্তিশালী হয়, তাহলে সেটি পৃথিবীর উপরিতলে এসে পৌঁছায়। আর তখনও যদি যথেষ্ট শক্তি থাকে, তাহলে সেটা ভূত্বককে কাঁপিয়ে তোলে। সেই কাঁপুনিই ভূমিকম্প (Earthquake)।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনও স্থানে ভূকম্পনের জন্য ফল্ট লাইনের বড় ভূমিকা থাকে। ভূত্বকের বিশাল খণ্ডকে টেকটোনিক ফল্ট বলা হয়। আর দু'টি টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে থাকা ফাটলকে ফল্ট লাইন বলা হয়। এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরেও ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake) হয়েছে নেপালে। সেই বারের ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।